ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: সফেদা একটি পুষ্টি মান সমৃদ্ধ অত্যান্ত মিষ্টি, সুস্বাদু ও সুন্দর গন্ধযুক্ত একটি ফল। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ অনেক উপকারী এই ফলটি হরহামেশাই হাতের নাগালে পাওয়া যায়।

আসুন সফেদার পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতাগুলো জেনে নিই:

পুষ্টিগুণ: 
সফেদায় রয়েছে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহের ভিটামিন এ, সি এবং ই, তামা, লোহা ইত্যাদি। সফেদার প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য অংশে রয়েছে খাদ্যশক্তি ৮৩ কিলোক্যালরি, শর্করা ১৯.৯৬ গ্রাম, আমিষ ০.৪৪ গ্রাম, ভিটামিন বি২ ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৩ ০.২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৫ ০.২৫২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ ০.০৩৭ মিলিগ্রাম, ফলেট ১৪ আইইউ, ভিটামিন সি ১৪.৭ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২১ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৮ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১২ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১২ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৯৩ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১২ মিলিগ্রাম, জিংক ০.১ মিলিগ্রাম। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি এই ফলটি রয়েছে অনেক ঔষধিগুণ।

আরও পড়ুন:জেনে নিন ফুলকপির গুনাগুণ ও উপকারিতা

 স্বাস্থ্য উপকারিতা:
১. শরীরের ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত সফেদা খেতে পারেন। সফেদায় চর্বি থাকে না। তাই বেশি খেলেও শরীরে মেদ বাড়ার আশঙ্কা থাকে না।
২. সফেদার পুষ্টি এবং কার্বোহাইড্রেট থেকে কর্মজীবী মায়ের জন্য অনেক উপকারী। এটা গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘোরা দূর করতে সাহায্য করে।
৩.সফেদায় থাকা ডায়াটরি ফাইবার, পলিফেনলিক যৌগ ও ভিটামিন আমাদের শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে।নিয়মিত সফেদা খেলে শারীরবৃত্তীয় কাজের গতি ত্বরান্বিত হয়।

 আরও পড়ুন: নিয়মিত খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

৪. এফলে থাকা ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফসফরাস হাড়ের গঠনকেও মজবুত করে।
৫.হঠাৎ করে সর্দি, কাশি হলে ওষুধের বিকল্প হিসেবে সফেদা খেতে পারবেন।
৬. সফেদায় আছে প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজ। এই গ্লুকোজ শক্তি দেয়। কাজেও আসে গতি।
৭.সফেদা ফলের স্নায়ু শান্ত করার অসাধারণ এক ক্ষমতা আছে। তাই খেতে পারেন।
৮.সফেদা একদিকে ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে কোষের ক্ষয় পূরণ করে, অন্যদিকে নতুন কোষ তৈরিতে অংশ নেয়। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তেও বাধা দেয়।

জেনে নিন সফেদার স্বাস্থ্য উপকারিতা শিরোনেোম লেখাটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার  / এমবি