এগ্রিকেয়ার২৪.কম ডেস্ক: ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে (বিএসএফ) বড়সড় নিয়মভঙ্গ ঘটেছে। নিয়মভঙ্গের কাজটি করেছে এক গোয়েন্দা কুকুর! মেঘালয়ের তুরায় বাংলাদেশ সীমান্তে এনিয়ে তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর সংবাদ প্রতিদিন।

বিএসএফ ছাউনিতে এক স্নিফার ডগ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। শুধু তাইই নয়, তিন তিনটি শাবকেরও জন্ম দিয়েছে সে। তা জানামাত্রই উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। কিভাবে অন্তঃসত্ত্বা হলো বিএসএফের ওই স্নিফার ডগ, তা জানতে তৈরি হয়েছে ‘কোর্ট অফ এনকোয়্যারি’। এ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ বিএসএফের ১৭০ ব্যাটেলিয়নে।

জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত এ মাসের প্রথমদিকে। ল্যালসি নামে বিএসএফের এক স্নিফার ডগ, যে ৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিল, সে তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছে ডিসেম্বরের ৫ তারিখ। ডিসেম্বরের ২৩ তারিখ মেঘালয়ের তুরার কাছে অবস্থিত বিএসএফ ব্যাটেলিয়নে একটি নোটিস এসে পৌঁছায় উচ্চপদস্থ কর্তাদের পক্ষ থেকে। তাতে ল্যালসি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে, কিভাবে সে অন্তঃসত্ত্বা হলো। এ বিষয়ে সামারি কোর্ট অফ এনকোয়ারি করতে বলা হয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা গোয়েন্দা বিভাগের কোনো কুকুর যেকোনো সময় অন্তঃসত্ত্বা হতে পারে না। কাজের স্বার্থে তাদের সেভাবেই রাখা হয়। প্রতি কুকুর পিছু একটি করে হ্যান্ডলার থাকেন। তারাই কুকুরদের চোখে চোখে রাখেন। গোয়েন্দা কুকুরদের প্রজননের আলাদা সময় থাকে। একমাত্র ওই সময়েই অনুমোদনক্রমে প্রশিক্ষিত কুকুর সন্তান প্রসব করতে পারে। গোয়েন্দা কুকুরদের প্রশিক্ষণ, প্রজনন, টিকাকরণ, স্বাস্থ্য নিয়ে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা হয় সেনাবাহিনীতে।

কিন্তু ল্যালসি আচমকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় এখন তার হ্যান্ডলারকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, তার গাফিলতির কারণেই ল্যালসি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। ঘটনাটি বাংলাদেশ সীমান্তে হওয়ায় আরো সংশয় ঘনিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীতে এই ঘটনা বড়সড় নিয়মভঙ্গের আওতায় পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিএসএফ।

এগ্রিকেয়ার/ এমএইচ