নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম:  নওগাঁর পোরশা উপজেলায় হঠাৎ অজ্ঞাত রোগে খামারে ১২ হাজার সোনালি মুরগির মৃত্যু হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে পাঁচটি শেডের ১২ হাজার ৭০০ মুরগির মধ্যে ৭০০টি অবশিষ্ট থাকে । এতে তার প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয় রবিউল ইসলামের।

এ মুরগি মারা যাওয়ার ব্যাপারে কথা হয় নওগাঁ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মহিরউদ্দিনের সাথে। তিনি এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, আসলে ১২ হাজার মুরগি মারা গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায় নি। গত ১৭ মে খামারি রবিউল ইসলাম তার খামারের ব্যাপারে আমাকে অবগত করার পর সরেজমিন তার খামার পরিদর্শন করেছি। মারা যাওয়ার মুরগির কিছু নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য জয়পুরহাট ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল সে রেজাল্ট পাওয়া গেছে । রাণীক্ষেত, কক্সিডিওসিস ও গামবুরো এ তিনটি রোগ ধরা পড়ে। এ ছাড়া ওই খামারিকে রোগ নিবারণে কিছু ওষুধ ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। মৃত মুরগিগুলো মাটি চাপা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে মুরগির বিভিন্ন রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

ড. মোঃ সহিদুজ্জামান, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বাংলাদেশে পোল্ট্রি শিল্প একটি ক্রমবর্ধনশীল লাভজনক শিল্প। মুরগি পালনের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা রোগ। বিভিন্ন রোগের কারণে এই পোল্ট্রি শিল্প মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পোল্ট্রির বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের মধ্যে ভাইরাসজনিত (রানীক্ষেত, গামবোরো, ম্যারেকস্, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডাক প্লেগ, ইনফেকসাস ল্যারিংগোট্র্যাকিয়াইটিস), ব্যাকটেরিয়াজনিত (ফাউল কলেরা, ফাউল টাইফয়েড, মাইকোপ্লাজমোসিস) ও পরজীবিজনিত (রক্ত আমাশায়, কৃমি) রোগ উল্লেখযোগ্য।

টার্কিতে সাধারণত রাণীক্ষেত, মাইকোপ্লাজমা, এভিয়ান রাইনোট্রাকিয়াইটিস, হিমোরেজিক এন্টারাইটিস ভাইরাস, রক্ত আমাশয়, ফিতা কৃমি, গোল কৃমি, ব্ল্যাক হেড, ফাউল পক্স, নেক্রোটিক এন্টারাইটিস, ফাউল কলেরা ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক বিষাক্ত পদার্থ, টক্সিন, নিম্নমানের খাদ্য, আবহাওয়া এবং পরিবেশ টার্কি পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।

কবুতরের বিভিন্ন রোগের মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগ, ডাইরিয়া, ক্যাংকার, কক্সিডিওসিস, নিউমোনিয়া, এগ বাইন্ডিং, ম্যালেরিয়া, গোল কৃমি জাতীয় রোগ উল্লেখযোগ্য।

আরোও পড়ুন: মোরগ-মুরগির ফাউল টাইফয়েড রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা

মুরগির চুনা পায়খানা ও গলা খক খক করা রোগের সমাধান

রোগের লক্ষণঃ রানীক্ষেত রোগে চুনা পানির মত সাদা পাতলা পায়খানা হয়, মুরগি ঝিমায় ও মুখ হা-করে শ্বাস-প্রশ্বাস ত্যাগ কওে এবং ঘাড়, পাখা ও পায়ের অবসতা দেখা দেয়।

গামবোরো রোগে আক্রান্ত মোরগ-মুরগি তার নিজ মলদ্বার ঠুকরায়, পায়ের গিরা ফুলে যায় এবং খুঁড়িয়ে হাঁটে, কাঁপুনি হয় এবং অতি ক্লান্তিতে মাটিতে শুয়ে পড়ে। শরীরে পানি স্বল্পত দেখা দেয় এবং পিপাসা বৃদ্ধি পায়।

ম্যারেকস্ বা ফাউল প্যারালাইসিস রোগে বিভিন্ন অঙ্গের স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হয়ে পক্ষাঘাতের সৃষ্টি হয়।

এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগ হলে মুরগির মাথা ফুলে যায়,।মাথা গাঁঢ় নীল রং ধারণ করে, মুরগির চামড়ার নিচে এবং পায়ে রক্ত জমাট বাধে।

ডাক প্লেগ রোগে আক্রান্ত হাঁস আলোর প্রতি অধিক সংবেদনশীল হয়, ক্ষুধামন্দা থাকে এবং ঘনঘন পানি পান করে, পালক কুঁচকে যায় এবং পাখা ও মাথা নিচের দিকে ঝুলে পড়ে।

ইনফেকসাস ল্যারিংগোট্র্যাকিয়াইটিস রোগে মুরগির শ্বাসযন্ত্রে ঘড় ঘড়, সাঁ সাঁ শব্দ ও কাশি হয়।

ফাউল কলেরা এর ক্ষেত্রে হাঁস-মুরগির পাতলা সবুজ পায়খানা হয়, হাঁটু ও মাথা ফুলে যায়, মাথার ঝুটি ও কানের লতি নীলাভ রং ধারণ করে।

ফাউল টাইফয়েড রোগে সবুজ বা হলুদ বর্ণের অতি দূর্গন্ধযুক্ত ডায়রিয়া দেখা দেয়, মাথা ও ঝুটি বিবর্ণ ও সংকুচিত হয়।

মাইকোপ্লাজমোসিস বা ক্রনিক রেসপিরেটরী ডিজিজ রোগে আক্রান্ত মোরগ-মুরগির শ্বাসনালীতে ঘড় ঘড় শব্দ হয়, নাক দিয়ে সর্দি ঝরা সহ হাঁচি ও কাশি পরিলক্ষিত হয়।

রক্ত আমাশায় রোগে লাল বা রক্তমিশ্রিত পাতলা পায়খানা করে, পালক ঝুলে পড়ে, বসে বসে ঝিমায় এবং আক্রান্ত বাচ্চাগুলো একত্রে জড়ো হয়ে থাকে।

চিকিৎসাঃ ভাইরাসজনিত রোগে কার্যকরী কোন চিকিৎসা নাই। সহায়ক চিকিৎসা হিসেবে স্যালাইন ও ভিটামিন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমন রোধে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যাকটেরিয়াজনিক রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে। রক্ত আমাশায় এর ক্ষেত্রে সালফানামাইড জাতীয় ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করা যেতে পারে। ম্যালেরিয়া, ক্যাংকার ও ককসিডিওসিস এর ক্ষেত্রে এন্টিপ্রোটোজোয়াল এবং কৃমি জনিত রোগে কৃমিনাশক ব্যবহার করতে হবে।

আরোও পড়ুন: মুরগির এইডস রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি

মুরগির ঘাড় বাঁকা রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার

প্রতিরোধ ও প্রতিকারঃ উল্লেখিত ভাইরাসজনিত রোগগুলোর অধিকাংশই বিভিন্ন বয়সের মুরগির বাচ্চার হয়ে থাকে। এজন্য এক দিন বয়সের বাচ্চা থেকে শুরু করে করে বিভিন্ন বয়সের পোল্ট্রিকে টিকা প্রদান করতে হবে। আক্রান্ত পোল্ট্রিকে সুস্থ্য পোল্ট্রি থেকে পৃথক করতে হবে। জীবাণুনাশক ঔষধ দিয়ে নিয়মিতভাবে বাসস্থান, খাবার পাত্র ও পানির পাত্র, যন্ত্রপাতি পরিস্কার করতে হবে।

নিয়মিত কৃমিনাশক ঔষধ, খাদ্যে নির্দিষ্ট পরিমান ককসিডিওষ্ট্যাট নামক ঔষধ সরবরাহ করতে হবে। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে যে খামারে এই রোগের আক্রমন দেখা যায়, এই খামারের চারপাশের সব খামারের মুরগী এক সাথে ধ্বংস করতে হবে। খামার ঘরে বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ রাখতে হবে এবং খামারের জীবনিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে হবে।

বাংলাদেশে মুরগির বিভিন্ন রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার লেখাটির লেখক অধ্যপক ড. মোঃ সহিদুজ্জামান, প্যারাসাইটোলজি বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।

মুরগির রাণীক্ষেত রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: খামারিদের একটা বড় সমস্যা হলো বিভিন্ন অণুজীব ঘটিত রোগে মুরগি মারা যাওয়া। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, মাইকোপ্লাজমাসহ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবাণু মুরগির দেহে আক্রমণ করে থাকে। আক্রান্ত হলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়।সাথে সাথে দেওয়া হয় টিকা বা ভ্যাকসিন।আসুন জেনে নিই মুরগির রাণীক্ষেত রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার। লেখাটি লিখেছেন ডাঃ তায়ফুর রহমান।

লেয়ার বা ব্রয়লার কিংবা কবুতর সবারই একটা খুব সাধারণ রোগ হলো এই রাণীক্ষেত। এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ। আমরা অনেকেই রাণীক্ষেত রোগের চিকিৎসা করে থাকি, কেউ ভ্যাকসিন দেয়ার পরামর্শ দেই, কেউ এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরামর্শ দেই, কেউবা সাথে আরো অন্য কিছু। আজ তাই এই সাধারণ রোগটির চিকিৎসা বিষয়ে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই।

প্রথমেই আসি ভ্যাকসিন বিষয়েঃ

চিকিৎসা হিসেবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কতটা যুক্তিযুক্ত বা সেটা কতটা কার্যকরী তা নিয়ে আছে মতবিরোধ। কেউ শুধু লাইভ ভ্যাকসিন আবার কেউ লাইভ এবং ১ দিন পর কিল্ড ভ্যাকসিন দেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এইখানে আমার নিজস্ব কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে চাই।

১। ভ্যাকসিনেশনঃ

morbidity ৫% এর বেশি হলে চিকিৎসা হিসেবে ভ্যাকসিনেশন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এরকম ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনেশনের দিকে না যাওয়াই উত্তম। একটা বিষয় মনে রাখা দরকার যে জীবাণু যেখানে বাসা বেঁধে আছে সেইখানেই কিন্তু ভ্যাকসিন-ভাইরাস বাসা বাঁধবে অর্থাৎ বংশবিস্তার করবে। সুতরাং রোগ বেশি আকার ধারণ করলে ভ্যাকসিন কাজ করার মতো Respiratory tract এ জায়গাই পাবে না।

যদি ভ্যাকসিন করতেই হয় তবে Lasota স্ট্রেইন এর ভ্যাকসিন করতে হবে। আর একটি কথা, এই রোগে যেহেতু মুরগি ঝিমায়, পানি ও খাদ্য খাওয়া কমিয়ে দেয়, তাই ভ্যাকসিন দ্বিগুন ডোজে করতে হবে।

** ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে কোন জীবানুনাশক দিয়ে স্প্রে করা যাবে না। তাতে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। ভ্যাকসিন প্রয়োগের ৩ দিন পর আবার স্প্রে করা যাবে। অনেকে জীবানুনাশক যেমন Timsen খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে চাইলে টিমসেন খাওয়ানো যাবে না।

আরোও জানুন: মুরগির ঠোঁট কাটতে ৯০ ভাগ খামারিরা যেসব ভুল করে

২। জীবানুনাশক ব্যবহারঃ

ভ্যাকসিন ব্যবহার করে চিকিৎসা করতে না চাইলে যেকোন কার্যকরী ভাইরাস প্রতিরোধী জীবানুনাশক দিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। যেমন টিমসেন, ভিরকন এস ইত্যাদি। অনেকে টিমসেন খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন, এক্ষেত্রে খাওয়ানোর মাত্রা হবে ১গ্রাম/৪লিটার পানিতে ৪-৬ ঘণ্টার জন্য।

৩। এন্টিবায়োটিকঃ

যেহেতু এটি ভাইরাস জনিত রোগ, তাই এখানে এন্টিবায়োটিকের খুব বড় কোন ভূমিকা নেই। সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হয়। এক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত এন্টিাবায়োটিক হলো সিপ্রোফ্লক্সাসিন ব্যবহারের কারন এটি খুব দ্রুত রক্তে মিশে যায় এবং এর বায়োলজিক্যাল হাফ লাইফও যথেষ্ট(৪ ঘণ্টা) আর Bioavailability ৬৯%। ডোজ ১মিলি/২লিঃ পানিতে, আবশ্য আমরা ১মিলি/লিঃ পানিতে প্রয়োগ করার পরামর্শই বেশি দিয়ে থাকি।

**ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে থাকলে তার ৮ ঘণ্টা পর এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করুন।

Systematic (IUPAC) name 1-cyclopropyl-6-fluoro-4-oxo-7-(piperazin-1-yl)-quinoline-3-carboxylic acid

৪। অন্যন্য ঔষধঃ

যেহেতু ভাইরাল ডিজিজ আর এন্টিভাইরাল কোন ঔষধ প্রয়োগ সম্ভব হচ্ছে না তাই মুরগির নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় এন্টিভাইরাল ড্রাগ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন ঔষধ যেমন Imm0fast (নাভানা এনিমেল হেলথ), Immolyte (স্কয়ার), Immuno Care(এভোন এনিম্যল হেলথ) ইত্যাদির যেকোন একটা ১মিলি/লিঃ -এ প্রয়োগ করে বেশ ভালো ফল পাওয়া গিয়েছে। এগুলো ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বাড়াতেও সহায়তা করে।

৫। ভিটামিন-ই ও সেলিনিয়ামঃ

সেলিনিয়ামের ভাইরাস প্রতিরোধী গুণ রয়েছে। যা ভাইরাসকে মারতেও সহায়তা করে তাই সহায়ক চিকিৎসা হিসেবে ভিটামিন-ই ও সেলিনিয়াম ব্যবহার করা যেতে পারে। বাজারে অনেক কোম্পানির ই-সেল পাওয়া যায়, যেমনঃ E-Sel(Square), Sel-E(Popular), Bio-Sel-E(Avon), Selcon forte (Prime care) ইত্যাদি। এর যেকোন একটা ১মিলি/লিঃ-এ প্রয়োগ করে বেশ ভালো ফল পাওয়া গিয়েছে।

যদি চিকিৎসা হিসেবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা না হয়ে থাকে তবে রোগ ভাল হয়ে যাবার পরপরই লাইভ ভ্যাকসিন এবং তার ১ দিন পর ক্ল্ডি ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। ভ্যাকসিন প্রয়োগের ১৫ দিন পর এন্টিবডি টাইটার লেভেল টেস্ট করা উচিৎ।

মুরগির রাণীক্ষেত রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার শিরোনামে সংবাদের লেখাটি লিখেছেন ডাঃ তায়ফুর রহমান; ডিভিএম, এম এস, এমপিএইচ ; ন্যাশনাল কনসালটেন্ট, প্রাণীস্বাস্থ্য গবেষণা বিভাগ, বিএলআরআই, সাভার, ঢাকা; প্রাক্তন ফিল্ড রিসার্চ অফিসার, আইসিডিডিআর,বি; এবং ব্লগ এডমিনিষ্ট্রেটর, ভেটসবিডি। লেখাটি ভেটসবিডি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ