নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: নওগাঁর মান্দায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন সেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বাসা থেকে মজুত করে রাখা প্রণোদনার আউশ ধানের বীজ ও সার উদ্ধার করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সংলগ্ন বড়পই গ্রামের এমদাদ মাষ্টারের ছেলে মাহমুদুল হকের বাড়ি থেকে এগুলো উদ্ধার হয়। মাহমুদুল হক মান্দা উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তবে, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি বলে জনিয়েছেন মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান।

আজ বৃহস্পতিবার (২২এপ্রিল ২০২১) দুপুর দেড়টার দিকে এগুলো উদ্ধার হয়।

সংশ্লিষ্টদের ধারণা, কৃষি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে এসব প্রণোদনা নামে বেনামে কৃষি কার্ড দিয়ে উত্তোলন করা হয়েছে। পরে সেগুলো খোলা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করার অপপ্রচেষ্টা করা হচ্ছিল।

কৃষি অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ এপ্রিল উপজেলা পরিষদ হলরুমে ২০২০-২১ অর্থ বছরে আউশ প্রণোদনার বীজ বিতরণের উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া বুধবার (২১ এপ্রিল) কৃষকদের মাঝে প্রনোদনা দেওয়া হয়। উপজেলার মান্দা, পরানপুর, প্রসাদপুর, নুরুল্লাবাদ, ভারশোঁ, কশব, তেঁতুলিয়া ও গণেশপুর ইউনিয়নের ৮৮০ জন কৃষকদের মাঝে এসব প্রনোদনা দেওয়া হয়।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২২এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ২টি ভ্যানে করে কৃষি প্রণোদনার সার ও বীজ আতাউর রহমান উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হকের বাড়িতে নিয়ে যায়। বিষয়টি সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। সংবাদ পেয়ে কৃষি অফিস সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম কর্ণারে বড়পই গ্রামের এমদাদ মাষ্টারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আউশ প্রণোদনার বীজ ও সার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে- পটাশ ২১ বস্তা (৫০ কেজি ওজন), ডিএপি ৪৮ বস্তা (৫০ কেজি ওজন), ধান বীজ ৬৬ বস্তা (১০ কেজি ওজন) এবং খোলা বীজ ৩ বস্তা। অভিযানের বিষয়টি জানতে পেরে বাড়ির সবাই সটকে পড়ে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, কৃষি কার্ডধারী উপকারভোগী কৃষকদের মাঝে প্রণোদনাগুলো বিতরণ করা হয়েছে। বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় সেগুলো ২০২০-২১ অর্থ বছরে আউশ প্রনোদনার বীজ ও সার। তবে সেখানে কিভাবে মজুদ করে রাখা হয়েছে সেগুলো প্রশাসন তদন্ত করে দেখবে। ঘটনার সঙ্গ জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, আউশ ধানের প্রণোদনার বীজ ও সার উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে অজ্ঞাতনামা মামলা করা হয়েছে। তবে, বাড়ির মালিককে চেনেন না বলে জানান তিনি।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ