নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজশাহীর বাজারগুলোতে স্থিতিশীল ডিম-মুরগির দাম। গত এক সপ্তাহে ডিম-মুরগির দাম তেমন উঠানামা করেনি। তবে, সপ্তাহখানেক আগে কমেছে ডিম-মুরগির দাম। অন্যদিকে পোল্ট্রি সংশ্লিষ্টরা বলছেন- রোজার কারণে সাময়িক দাম কমলেও ঈদের আগে বাড়ার জোরালে সম্ভাবনা রয়েছে।

রোজার শুরুর দিকে প্রতিকেজি ব্রয়লার ১৬০ টাকা থেকে ১৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা এখন ১৫০ টাকায় নেমে এসেছে। প্রতি এক’শ লাল বাদামি ডিম ৭০০ টাকা থেকে ৪০ টাকা বেড়ে ৭৪০ টাকা এবং ৬৫০ টাকা থেকে বেড়ে সাদা ডিম ৬৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। তবে, তা বর্তমানে পাইকারিতে দাম কমেছে ডিমের।

রাজশাহী পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক এগ্রিকেয়ার২৪.কমক বলেন, করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে লাখ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছেন খামারিরা। তবে মাঝখানে দাম বাড়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন। পোল্ট্রি মুরগির দাম প্রথমে বাড়ার কারণ, করোনায় হ্যাচারিগুলো বাচ্চা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সেইসাথে অনেক বাচ্চা মাটিতে পুঁতে ফেলেন।

তিনি আরো বলেন, অনেকে পুুঁজি সংকটে বাচ্চা না কিনে খামার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। প্রায় ৫৬ থেকে ৭০ শতাংশ খামার বন্ধ করায বাজারে মাংসের যোগান কমে যায়। ফলে বাড়তে থাকে ব্রয়লার মুরগির দাম। আর রোজায় চাহিদা ভালো থাকে তখন দাম বাড়ে। আবার এখন কমে গেছে। তবে, আশার দিক গরু-খাশির মাংসের দাম বেশি হওয়ায় ঈদের আগে ব্রয়লারসহ বিভিন্ন মুরগির দাম বাড়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজশাহীর সাহেব বাজার এলাকার মুরগি ব্যবসায়ী রেজাউল করিম মিঠু বলেন, এখন যে পরিমান মুরগি বাজারে আসছে সবগুলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা, লেয়ার ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৪০০ টাকা টাকা কেজি বিক্রি করছি। ঈদ করার জন্য ছাত্ররা বাড়িতে যেতে শুরু করেছে। স্কুল কলেজের ছাত্ররা ফিরলে দাম আরো বাড়বে আশা করছি।

ডিম ব্যবসায়ী বাদলা এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে জানান, লাল বাদামি ডিম ৭৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পরিমানের উপর কিছু দাম কমবেশি হচ্ছে। পাইকারিতে বর্তমানে প্রতি এক’শ লাল ডিমের দাম ৬৮০ টাকা এবং সাদা ডিম ৬০০ টাকা, দেশি মুরগির প্রতি হালি ৪ টি ডিমের দাম ৫৫ টাকা। খুচরা বাজারে একটু লাভেই বিক্রি করতে হয়।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ