নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: এ বছর বোতলজাত সয়াবিন তেল সর্বোচ্চ প্রতি লিটার ২০৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। যা সম্প্রতি ২ দফায় ২০ টাকা কমিয়েছে তেল কোম্পানিগুলো। এরমধ্যে সর্বশেষ গত ২১ জুলাই লিটারপ্রতি ১৪ টাকা দর কমানো হয়। কিন্তু ১৪ টাকা কমিয়ে ফের ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।

আজ রোববার সংগঠনের পক্ষ থেকে এ তথ্য দেওয়া হয়। সংগঠনটির নেতারা জানায়, গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন, টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এতে ভোজ্যতেলের আমদানি খরচ বেড়েছে। তাই ডলারের বাড়তি দাম অনুযায়ী তেলের মূল্য সমন্বয়ের জন্য বলা হয়েছে। গত ৩ আগস্ট আমরা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। সেটি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পড়তে পারেন: তেলের প্রভাব মাছের বাজারে, কেজিতে বাড়লো ৫০ টাকা

বিটিটিসি’র তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে প্রায় ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা আছে। এরমধ্যে প্রায় ১৮ লাখ টন আমদানি হয়।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনেরর উপ-প্রধান মো. মাহমুদুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন আমাদের কাছে তেলের তাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এটা তারা নিয়মিত প্রতি মাসেই করে। তাদের আবেদনটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমার কাছে আসবে, এরপর আমরা সেটি পর্যালোচনা করবো। তারা প্রস্তাবনায় ১০০ টাকা বাড়ানোর কথা বলতে পারে। কিন্তু পর্যালোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।

পড়তে পারেন: তেল সংকটে ভারতকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে মালয়েশিয়া

ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারী শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির এক কর্মকর্তা এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ভোজ্যতেলের দামের সমন্বয় করতে চান মিল মালিকরা তাই এই প্রস্তাব।

সর্বশেষ গত ২১ জুলাই নতুন দাম নির্ধারণ করার পর প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৬৬ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকা এবং ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সয়াবিন তেলের পাশাপাশি পাম তেলের দামও ৬ টাকা কমানো হয়। পাম তেলের নতুন দাম ১৫২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ