ডেইরি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: হটাৎ কমেছে দুগ্ধপণ্যের দাম। টানা তিন নিলামে গ্লোবাল ডেইরি ট্রেডে (জিডিটি) দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচক কমলো। দাম কমার পেছনে ননিবিহীন গুঁড়ো দুধ দায়ী। এমনই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সব ধরনের দুগ্ধপণ্যের গড় মূল্য স্থির হয়েছে টনপ্রতি ৩ হাজার ৩৫৭ ডলারে, যা আগের নিলামের তুলনায় ৩ দশমিক ৯ শতাংশ কম।

দাম কমে যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে ননিবিহীন গুঁড়ো দুধ। নিউজিল্যান্ডজুড়ে পণ্যটির উৎপাদন ১৫-২০ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া দাম কমার ক্ষেত্রে মাখনযুক্ত গুঁড়ো দুধও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

এবারের নিলামে সর্বোচ্চ ৩২ হাজার ৪৫৮ টন দুগ্ধপণ্য সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ২৮ হাজার ৮৬৭ টন। নিলামে অংশ নিয়েছেন ১৪২ জন ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে জয়লাভ করেছেন ১১৬ জন।

জিডিটি নিলামে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধ। এটি থেকে খামারিরা সরাসরি লাভবান হন। এবারের নিলামে পণ্যটির দাম ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। প্রতি টন বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ২৭৯ ডলারে।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

বাড়িতেই গুঁড়া দুধ দিয়ে তৈরি করুন মজাদার লালমোহন

গাভীগুলো আগে ৫ লিটার দুধ দিত, এখন দিচ্ছে ২৮-৩০ লিটার

দুধ দিচ্ছে পাঁঠা, দেখতে ভিড় করছে মানুষ

অন্যদিকে ননিবিহীন গুঁড়ো দুধের দাম ৮ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। মূল্যসূচক কমে যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে এটি। পণ্যটি টনপ্রতি লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৯৭২ ডলারে।

এছাড়া অ্যানহাইড্রাস মিল্ক ফ্যাটের দাম ১ দশমিক ৭ শতাং কমেছে। প্রতি টন বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৫৬২ ডলারে। মাখনযুক্ত গুঁড়ো দুধের দাম ১১ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ২ হাজার ৯৭৩ ডলারে। ল্যাকটোজের দাম ১ শতাংশ কমে টনপ্রতি ১ হাজার ৩০০ ডলারে স্থির হয়েছে।

এ নিলামে দুটি পণ্যের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এর মধ্যে মাখনের দাম দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ৮৬৮ ডলারে এবং চেডার পনিরের দাম দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ৮০২ ডলারে উঠে এসেছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ