অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ভারতের পাম অয়েল আমদানি গত মাসে বেড়ে এক বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসেছে উৎসবের মৌসুমকে সামনে রেখে পণ্যটির চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী। ফলে দাম বেড়েছে পাম ওয়েলের।

চাহিদার কারণেই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক হারে পাম অয়েল আমদানি করছে। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভোজ্যতেলের বিপরীতে পাম অয়েলে ব্যাপক মূল্যছাড় আমদানি বাড়াতে সহায়তা করছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, ইন্দোনেশিয়ার রফতানি নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া, ঊর্ধ্বমুখী রফতানি, দুর্বল চাহিদাসহ নানা কারণে সম্প্রতি মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম রেকর্ড উচ্চতা থেকে কমে অর্ধেকে নেমে এসেছিল। কিন্তু ভারত আমদানি বাড়ানোয় বাজার আদর্শটির দাম আবারো গতি ফিরে পাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

এদিকে ভারত আমদানি বাড়ানোয় বিশ্বের শীর্ষ সরবরাহকারী দেশ ইন্দোনেশিয়া সুবিধা ভোগ করছে। রফতানি নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটিতে পাম অয়েলের মজুদ ব্যাপক বেড়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ সময় মজুদ ধরে রাখার কারণে পাম অয়েল ও পাম ফল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ভারত আমদানি বাড়ানোয় দেশটির মজুদ কমছে।

ডিলারদের দেয়া তথ্য বলছে, গত মাসে ভারতের পাম অয়েল আমদানি আগের মাসের তুলনায় ২১ শতাংশ বেড়েছে। আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ টনে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা সর্বোচ্চ।

জিজিএন রিসার্চের ম্যানেজিং পার্টনার রাজেশ প্যাটেল বলেন, গত মাসে অন্যান্য ভোজ্যতেলের তুলনায় পাম অয়েলের দাম ছিল অনেক সাশ্রয়ী। ফলে পরিশোধন কোম্পানিগুলোর জন্য এটিই ছিল সবচেয়ে ভালো বিকল্প।

ডিলাররা জানান, ইন্দোনেশিয়া মজুদ খালি করার জন্য মূল্যছাড়ে ভারতের কাছে পাম অয়েল বিক্রি করছে। এছাড়া শুল্ক সুবিধাও দেয়া হচ্ছে। এ কারণে সয়াবিনের তুলনায় পাম অয়েল আমদানি করা ছিল প্রায় ৩০০ ডলার সাশ্রয়ী।

এদিকে চলতি মাসেও ভারতের পাম অয়েল আমদানি ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সময় দেশটি ১০ লাখ টনের বেশি পাম অয়েল আমদানি করবে। কারণ এ মাসেও ভারত পাম অয়েল আমদানিতে ভালো পরিমাণ মূল্যছাড় পাচ্ছে। তাছাড়া উৎসবের কারণে সৃষ্ট চাহিদাও ঊর্ধ্বমুখী থাকবে।

বর্তমানে অপরিশোধিত পাম অয়েল টনপ্রতি ৮৫৫ ডলারে আমদানি করছে ভারত। এর মধ্যে ব্যয়, বীমা ও জাহাজীকরণও (সিআইএফ) অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে দেশটিকে বর্তমানে প্রতি টন সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ২০৭ ডলারে।

সলভেন্ট এক্সট্রাক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া চলতি মাসের মাঝামাঝি গত মাসের আমদানির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। ডিলারদের দেয়া তথ্য বলছে, গত মাসে ভারতের সয়াবিন তেল আমদানি ১০ শতাংশ বেড়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ