প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া কিছু খাবারে হাঁসের পুষ্টি জোগায়। একইসাথে খামারিদের অর্থ সাশ্রয় এবং হাঁসের প্রাকৃতিক খাবারে বাড়তি দ্বিগুণ হয় ।পারিবারিকভাবে পালিত দেশী হাঁস জলাশয়ে এবং ক্ষেতখামারে চরে জীবন ধারন করতে পারে। কিন্তু উন্নত জাতের হাঁস পালনের ক্ষেত্রে বিশেষ যত্নবান হতে হবে।আসুন জেনে নিন হাঁসের প্রাকৃতিক পুষ্টিকর খাদ্য সম্পর্কে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক খাবার যেমন – শামুক, ঝিনুক, কাঁকড়া, কেঁচো, শাপলা, ক্ষুদেপানা ছোট মাছ ও নানা ধরনের কীটপতঙ্গ মুক্ত অবস্হায় জলাশয়ে পাওয়া গেলে শুধু সকাল ও বিকালে পরিমিত পরিমান দানাদার খাবার সরবরাহ করলেই চলবে। হাঁসের খাবারের সাথে প্রচুর পরিমাণ পানি সরবরাহ করতে হয়। হাঁসকে শুস্ক খাদ্য দেয়া ঠিক নয়। এদের সবসময় ভেজা ও গুঁড়ো খাদ্য দেয়া উচিত। প্রথমে ৮ সপ্তাহ হাঁসকে ইচ্ছামত খেতে দেয়া উচিত পরবর্তীতে দিনে দু’বার খেতে দিলেই চলে ।

সুষম খাদ্য তৈরিঃ
সুষম খাদ্য তৈরির পূর্বে প্রতিটি হাঁস পালনকারীকে খোয়াল রাখতে হবে যেন সুষম খাদ্যের প্রতিটি উপাদানই সহজলভ্য, সস্তা, টাটকা এবং পুষ্টিমান সঠিকভাবে বিদ্যমান আছে। কোনো অবস্হাতেই বাসি পঁচা বা নিম্নমানের ফাংগাসযুক্ত খাবার হাঁসকে দেয়া যাবে না। খাদ্যের প্রকৃতি, মিশ্রণ পদ্ধতি, হাঁসের জাত, ওজন, ডিম উৎপাদনের হার এবং সর্বোপরি শামুক, ঝিনুক, ধান, সবুজ শেওলা বা শৈবাল এবং শাকসবজীর প্রাপ্যতা অনুসারে খাদ্য খাওয়ানোর কর্মসূচি তৈরি করতে হবে।

আরোও পড়ুন: হাঁসের প্যারালাইসিস হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

৩ সপ্তাহ পর্যন্ত হাঁসের বাচ্চার খাদ্য, টিকা ও করণীয় কাজ

হাঁসের কলেরা রোগের ১০ লক্ষণ ও প্রতিকার

খাবার পাত্র ও পানির পাত্রঃ

বয়স অনুযায়ী হাঁসের জন্য খাবার পাত্র ও পানির পাত্রের পরিমাণ-
বয়স (মাস) জায়গার পরিমাণ (লিনিয়ার ইঞ্চি)
খাবার পাত্র পানির পাত্র
১ দিন – ৩ সপ্তাহ ২.০ ২.৫
৪ সপ্তাহ – ৮ সপ্তাহ ৩.০ ৩.০ – ৪.০
৮ সপ্তাহ – ১৬ সপ্তাহ ৪.০ ৪.০- ৫.০

হাঁসের প্রাকৃতিক খাবারে বাড়তি দ্বিগুণ শিরোনামে সংবাদের তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।