হাওরে ধান কাটতে যাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: হাওরে ধান কাটতে যাওয়া শ্রমিকদের গাড়ি ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া ধান কাটার জায়গা স্বাস্থ্যসম্মতসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল, ২০২০) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস জনিত পরিস্থিতিতে করণীয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ নিয়ে ব্রিফিং এর সময়ে কৃষিমন্ত্রী এ তথ্য তুলে ধরেন।

এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নাসিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মোঃ আরিফুর রহমান অপু, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল এবং বিএডিসির চেয়ারম্যান মোঃ সায়েদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিফিংয়ে কৃষিমন্ত্রী করোনা ভাইরাসের কারণে কৃষি মন্ত্রণালয়ের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। এ সময়ে তিনি জানান, হাওরে ধান কাটতে যাওয়ার জন্যে সব ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হাওরে যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সাবান, স্যানিটাইজার, মাস্ক প্রভৃতি উপকরণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া নিরাপদ যাতায়াতের জন্য আলাদা গাড়ি, নির্বিঘ্ন যাতায়াত, ধান কাটার জায়গা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে রাখার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে।

কৃষিমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষি শ্রমিকেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাওরে যাওয়া শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, হাওরে ধান কাটায় কোন সমস্যা হবেনা।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে বোরো ধান কাটার শ্রমিকের সংকটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হাওর অঞ্চলের ধান কাটার জন্য জরুরি ভিত্তিতে নতুন ১৮০টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ১৩৭টি রিপার সরবরাহের বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

করোনাভাইরাস জনিত পরিস্থিতিতে কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণ ও বিপণনে গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষকদের স্বার্থে সার, সেচ, ইক্ষুচাষসহ কৃষিখাতে ভর্তুকি বাবদ ৯০০০ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রদান করেছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষিখাতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্রদান করেছেন। এর সুদ ৪% হলেও কৃষিখাতে ৯০০০ কোটি টাকার ভর্তুকিসহ অন্যান্য প্রণোদনা বিবেচনায় নিলে এটি অত্যন্ত ভাল। এ প্রণোদনার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করে কৃষির সকল সেক্টরে (মৎস্য ও প্রাণি খাতসহ) সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, এসব প্রণোদনার বাইরেও কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষি পুনর্বাসনে ১২০ কোটি টাকা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ক্ষতিপূরণ ও সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদের জন্য ৫০ কোটি টাকা এবং ফসলে নতুন জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের জন্য প্রদর্শনী স্থাপন ও গ্রহণকরণ বাবদ ৭৫ কোটি টাকা ইতোমধ্যে বরাদ্দ প্রদান করেছে।

আরও পড়ুন: করোনা; কৃষি কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে থাকার পাশাপাশি মাঠে যাওয়ার নির্দেশ

হাওরে ধান কাটতে যাওয়া শ্রমিকদের গাড়ি ও থাকার ব্যবস্থা শিরোনামের সংবাদটির তথ্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অফিসার কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন।