নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ভারত থেকে আমদানি হওয়া পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছেনা দেশে। উল্টো গরমের কারণে পচতে শুরু করেছে পেঁয়াজ। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাড়তি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করার কারণে পেঁয়াজের কেজি নেমেছে ২ টাকায়।

মার্চ মাসের ২৯ তারিখের পর আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরে এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এদিকে মসলা জাতীয় পণ্যের আমদানি বাড়লেও দেখা দিয়েছে ক্রেতা সংকট।

পচা পেঁয়াজ কিনতে চাচ্ছে না কেউ। বাধ্য হয়ে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। খারাপ মানের পেঁয়াজ ২-৩ টাকা কেজি দরে এবং কিছু পেঁয়াজ বিনামূল্যেও দেয়া হচ্ছে। তবে ভালোমানের পেঁয়াজ ১৩-১৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পেরে খুশি পাইকারসহ নিম্ন আয়ের মানুষ।

পড়তে পারেন: পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ

নাজিম উদ্দিন নামে এক ক্রেতা বলেন, গুদাম থেকে পেঁয়াজ কিনেছি। কমদামে ৫০টাকা বস্তা হিসেবে। এগুলো নিয়ে বেছে পরিষ্কার করে ভালোগুলো বের করে নিজেরা খাবো বাড়তি পেঁয়াজ বিক্রি করবো। তবে যেভাবে পেঁয়াজ পচেছে তাতে মালিকদের লোকসান হবে অনেক।

পেঁয়াজ কিনতে আসা আনন্দ বর্মন বলেন, আগে তো পেঁয়াজের দাম ২০-২২ টাকা কেজি ছিল। এখন দাম কমে গেছে ১৩-১৫ টাকা হয়েছে। তবে একটু নষ্ট পেঁয়াজ কমদামে কিনে বাছাই করে ১০-১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যাচ্ছে।

বন্দরের আমদানিকারক শাহরিয়ার আলম বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৯ মার্চের পর পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। তাই এর আগে বন্দর দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ আনা হয়। যা দেশের বাজারে রমজানে বাড়তি চাহিদার তুলনার চেয়ে অনেক বেশি ছিল।

পড়তে পারেন: সরকারি প্রণোদনায় ১৮৩ কোটি টাকার পেঁয়াজ উৎপাদন

তবে গত সাত দিনেও ক্রেতা সংকটের কারণে পেঁয়াজ বিক্রি সম্ভব হয়নি। প্রচণ্ড গরমে অনেক পেঁয়াজে পচন ধরেছে ও নষ্ট হচ্ছে। এসব পেঁয়াজ কম দামে ক্রয় করা ছিল, কিন্তু এখন কমদামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে করে প্রচুর টাকা লোকসান হচ্ছে।

হিলি বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে মার্চ মাস জুড়েই পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত ছিল। সে সময় গড়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ ট্রাক পেঁয়াজ এসেছে। সর্বশেষ ২৯ মার্চ বন্দর দিয়ে ৬৩ ট্রাকে এক হাজার ৬৯০ টন পেঁয়াজ এসেছে। এর পর থেকে আজ অবধি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে কি কারণে বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ, তা আমরা সঠিক জানিনা।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ