নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জে ব্রি ধান ৯৫ এর আশানুরুপ ফলন হয়েছে। এ জাতের ধান হেক্টরে ৫ থেকে ৭ টন হয়ে থাকে। জেলার সদর উপজেলার চরহামুয়া গ্রামে বুধবার সকালে ফসলের মাঠ দিবসে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় হবিগঞ্জের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মামুনুর রশিদ।

ড. মামুনুর রশিদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে প্রচলিত ধানের অনেক জাত আজ বিলুপ্তির পথে। তবে আশার কথা হচ্ছে সময়ের পরিবর্তনের সাথে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবিত হচ্ছে। কৃষকদেরকে নতুন জাতের ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন- বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে খাদ্যের চাহিদা। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে কৃষি জমির পরিমাণ কমছে। সেটি মাথায় নিয়ে অতিরিক্ত খাদ্যের চাহিদা পূরণে আমাদেরকে উন্নত জাতের ধান চাষ করে খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আর এ ব্যাপারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অত্র এলাকায় ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গত মৌসুমে এ রোগে অত্রাঞ্চলের কৃষক বিআর ২৮ ও বিআর ২৯ চাষ করে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

তাই দুর্যোগ সহনশীল বিআর ৯৬, বিআর হাইব্রিড-৩, বিআর হাইব্রিড-৫ চাষ করলে কৃষকরা বেশি লাভবান হবেন। কারণ এ ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেলেও সহজে নষ্ট হবে না। তাছাড়াবিআর হাইব্রিড-৩, বিআর হাইব্রিড-৫ ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয় খুব কম। তাই এ ধান চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় হবিগঞ্জের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে ও এসেড হবিগঞ্জ এর প্রধান নির্বাহী জাফর ইকবাল চৌধুরীর সঞ্চালনায় বুধবার সকালে লস্করপুর ইউনিয়নের চরহামুয়ায় ফসল কর্তন ও মাঠ দিবসে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জের উপপরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুজ্জামান,যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপপরিচালকএ.কে.এম আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা
ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় হবিগঞ্জের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আবু সাঈদ, সাইন্টিফিক অফিসার আবু নাঈমসহ অনেকে।

জাইকা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, শেয়ার দ্যা প্লানেট ও এসেড হবিগঞ্জ বাস্তবায়নেআয়োজিত অনুষ্ঠানে চরহামুয়া ব্লকের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা,গ্রামের কৃষকও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ/২০২৩