ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পরীক্ষামূলকভাবে ১০ কাঠা জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন নাটোরের গুরুদাসপুরে কৃষক মো. আব্দুল আলিম। তিনি জমি থেকে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। কৃষক আলিমের এই সফলতা দেখে স্থানীয় অনেকে চাষী রঙিন ফুলকপি চাষে উৎসাহী হচ্ছেন।

কৃষক আরও জানান, ১০ কাঠা জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষে খরচ হয়েছে মাত্র ৬ হাজার টাকা। জমিতে চারা রোপণের দুই মাসের মধ্যে রঙিন ফুলকপি বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়। এই জমিতে ফুলকপি চাষে খরচ বাদে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা আয় করেছেন তিনি। বাজারে হলুদ ও বেগুনি রংয়ের ফুলকপির চাহিদা বেশি রয়েছে। সাদা ফুলকপির চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অনেকে জমি থেকে ফুলকপি কিনতে আসছেন।

প্রথম রঙিন ফুলকপি চাষি মো. আব্দুল আলিম বলেন, নাটোরে প্রথম রঙিন ফুলকপি চাষ শুরু করি। আগে তেমন কোনো রকম অভিজ্ঞতা ছিল না। কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথম সাহস করে মাত্র ১০ কাঠা জমিতে ২২০০ টি হলুদ ও বেগুনি রংয়ের চারা রোপণ করি। জৈব সার ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করেছি। সাদা ফুলকপির মতই চাষাবাদ খরচ হলেও তুলনামূলক ভাবে এই ফসলে জৈব সার বেশি লাগে। চারাসহ এ ফুলকপি চাষে মোট ৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রথম দিকে প্রতি কেজি রঙিন ফুলকপি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ৬০ টাকা কেজি এই ফুলকপি বিক্রি করছি। বাজারে এই ফুল কপির চাহিদাও অনেক বেশি। সাদা কপির চেয়ে এই কপির দামও বেশি। এ রঙিন ফুলকপি চাষে অনেকে পরামর্শের জন্য আসছেন।

গুরুদাসপুরের সবজি বিক্রেতা রাজিব হোসেন জানান, সাদা ফুলকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রঙিন ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। অনেক ক্রেতা উৎসাহিত হয়ে রঙিন ফুলকপি কিনছেন। অন্য কপির চেয়ে এ কপির বিক্রি বেশি হচ্ছে।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, নাটোর জেলা প্রথম রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফলতা পেয়েছে কৃষক আলিম। তিনি কৃষি বিভাগের পরামর্শে কেবলমাত্র জৈব সার ব্যবহার করে ভালো ফলন পেয়েছেন। এ রঙিন ফুলকপির দাম তুলনামূলক ভাবে বেশি। এতে করে কৃষকরা লাভবান হবেন। অনেক কৃষক রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আগামীতে জেলায় এ রঙিন ফুলকপি চাষ অনেক অংশে বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।