এম. আব্দুল বাতেন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর উপজেলার আন্দুয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম। পেশায় স্কুল শিক্ষক। শখের বশে পুষেছেন গরু। নাম দিয়েছেন ‘রাজশাহী কিংস’। কোরাবানির ঈদ আসার আগেই বিক্রি হয়েছে গরুটি।১৫ মন ওজনের ‘রাজশাহী কিং’ দাম ৩ লাখ টাকা।

শিক্ষক হলেও তিনি বাড়ীর ছোট হতে পালিত গরু বড় করেছেন কোরবানি ঈদের বেচার উদ্দেশ্যে। ঘরে তার স্ত্রী দেখা শোনার কাজটি করে থাকে। শিক্ষকতার পাশাপাশি স্বামী স্ত্রী মিলে গরু পালন তাদের একটি শখ।

গত ৪ বছর ধরে একটি শ্যামলা বর্ণের গুরু পালন করে প্রায় ১৫ মন ওজনের গরু বড় করেছেন কোরবানি ঈদে বিক্রয় করবেন বলে। তবে এই গরুটি অন্য গরুর চেয়ে বেশ মোটা, বড় ও ওজনে বেশী ও আকর্ষনীয় হওয়ায় তার নাম রাখা হয়েছে ‘রাজশাহী কিংস’। এমন গরু আছে প্রচার হলে তার বাড়ীতে বিভিন্ন এলাকা হতে দেখতে দেখতে ভীড় জমায়। এছাড়াও ক্রয় করতে লোক আসা শুরু করে।

গত শনিবার ১৮ জুলাই ২০২০ সংবাদ কর্মীরা তার বাসায় গেলে রাজশাহী শহর ও আশে পাশে হতে কিছু ক্রেতাও চলে আসে। এরই মাঝে রাজশাহী কিংস হিসেবে পরিচিত গরুটি বিক্রয়ের জন্য দাম দরও ফাইনাল হয়ে যায়।

রাজশাহী ও আশেপাশে হতে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, আমরা গরুটির নাম শুনে এসেছি। দাম দরে আমাদের হলে গরুটি ক্রয় করতে চাই।

এদিকে রাজশাহী হতে আসা হাবিব আহম্মেদ নামে এক ক্রেতা গরু পালনকারি শিক্ষক নজরুল ইসলামের সাথে দাম দরে হয়ে গেল তাৎক্ষণিক বিক্রয় করে দেন।

ক্রেতা হাবিব আহম্মেদ বলেন, গরুটির ওজন ১৪ মন হবে এই ধারনায় গরুটি ক্রয় করে নিলাম। তাছাড়া দাম দর যাই হোক কোরবানি করার উদ্দেশ্য নেওয়ায় দাম আর ওজনের দিকে তাকায় নি।

গরু পালন কারী ও বিক্রেতা শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, গরুটিকে সম্পন্ন দেশীয় প্রযুক্তিতে খাওয়া দাওয়া করে বড় করা হয়েছে। ধান, চালের কুড়া, ঘাস, কলা, কাঁঠাল ইত্যাদি খাওয়ে বড় করা হয়েছে। এর আগে অনেক ক্রেতা এসেছে বিক্রয় করা হয়নি। এই করোনায় সব দিকের অবস্থা খারাপ সবদিক বিবেচনা করে আমি গরুটি ৩ লাখ টাকায় বিক্রয় করে দিলাম। আশা করেছিলাম ৪ লাখ টাকা পাবো।