ইউক্রেনে গমের রফতানি মূল্য

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ভারত থেকে ১৫ লাখ টনেরও বেশি গম সরবরাহের অনুরোধ করেছে বেশ কয়েকটি দেশ । চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ভারতের এ গম রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ইকোনমিক টাইমস।

আবেদনকারী দেশ স্থানীয় চাহিদা মেটাতে ভারতের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ গম ক্রয় করে। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর বিশ্বজুড়ে সৃষ্ট গম সংকটে ভুক্তভোগী আমদানিনির্ভর দেশগুলো। এর মধ্যে নিম্ন আয়ের দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। পরিস্থিতি উত্তরণে জুনে ভারতের সহায়তা চায় বেশকিছু দেশ। তখন এসব দেশ থেকে ১৫ লাখ টনেরও বেশি গম সরবরাহের অনুরোধ পায় ভারত।

চলতি বছরের মে মাসে ভারত গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু যেসব দেশে খাদ্যনিরাপত্তা ঝুঁকি আছে এবং যেসব দেশ সরবরাহ অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেছিল, সেসব দেশে রফতানি অব্যাহত রাখা হয়।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

জানুন উচ্চ ফলনশীল গমের নতুন জাত সম্পর্কে, শীষে ৪০ দানা

বিশ্ব বাজারে কমছে চাল ও গমের দাম

পাঁচ বছরের সর্বনিম্নে দাঁড়িয়েছে ভারতের গম মজুদ

গমের বাজারে নতুন খবর

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটি ১৪৮ কোটি ডলারের গম রফতানি করে। গত বছরের একই সময় রফতানি করা হয়েছিল মাত্র ৬৩ কোটি ডলারের গম।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে গম সরবরাহ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। কারণ উভয় দেশই বিশ্বের শীর্ষ গম রফতানিকারক। এমন সংকটের মধ্যে ভারত আমদানিকারক দেশগুলোর জন্য অন্যতম বিকল্প উৎস হয়ে ওঠে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, শুধু গমই নয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রফতানি বেড়েছে ২৫ শতাংশ।

এদিকে গম উৎপাদনে রেকর্ড সর্বোচ্চে উন্নীত হতে যাচ্ছে রাশিয়া। শুধু গম নয়, খাদ্যশস্যের উৎপাদনে রেকর্ড হতে পারে। এতে কোটা ছাড়াই স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশটি বিপুল পরিমাণ শস্য রফতানি করতে পারবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স এসব তথ্য তুলে ধরেছেন।

রাশিয়া বিশ্বের শীর্ষ গম রফতানিকারক দেশ। সম্প্রতি দেশটি খাদ্যশস্যে রফতানি কোটা প্রত্যাহারের কথা ভাবছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে আন্তর্জাতিক বাজারে যেমন সরবরাহ বাড়বে, ঠিক তেমনি খাদ্যশস্যের দামও কমে আসবে বলে ধারণা বাজার বিশ্লেষকদের।

রাশিয়া সাধারণত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে জুনের শেষ সময় পর্যন্ত খাদ্যশস্য রফতানিতে কোটা বেঁধে দেয়। উদ্দেশ্য স্থানীয় চাহিদা নিশ্চিত করা। তবে চলতি বছর দেশটি রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদন করেছে। প্রাক্কলিত উৎপাদন ধরা হয়েছে ১৫ কোটি টন। এর মধ্যে নয় কোটি টনই গম।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ