আন্তর্জাতিক কৃষি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ভারতের ৮০ কোটি জনসংখ্যা এতদিন যে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যশস্য পেত তার মজুদ পাঁচ বছরের সর্বনিম্নে দাঁড়িয়েছে। এমন খবর প্রকাশ করেছে ফুড করপোরেশন অব ইন্ডিয়া (এফসিআই)।

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে শীত ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বপন করা গম ও ধানের ফলন বিপন্ন হয়েছে। এতে দেশটির খুচরা খাদ্যমূল্য ২২ মাসের সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে।

কৃষক এখন সরকারের কাছে কম মূল্যে খাদ্যশস্য বিক্রির চেয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন। এতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মাত্র অর্ধেক শস্য সংগ্রহ করতে পেরেছে ভারত সরকার। চালের মজুদ দেশীয় চাহিদা পূরণে যথেষ্ট হলেও গমের মজুদ ১৪ বছরের সর্বনিম্নে দাঁড়িয়েছে।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের অন্যান্য নিউজ পড়তে পারেন:

 বড় নয়, মাঝারি দেশাল গরুর দিকে যে কারণে ঝুঁকছে খামারিরা

আলোহীন চোখ নিয়ে গরুর খামারে লাখোপতি ফাহিম

গরুর নতুন খামারের জন্য বকনা ও গাভীর প্রাপ্তিস্থান-মূল্য

ফুড করপোরেশন অব ইন্ডিয়া (এফসিআই) সম্প্রতি জানায়, ১ অক্টোবর নাগাদ জরুরি এ খাদ্যপণ্য দুটির মজুদ ৫ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার টন।

মার্চে প্রলম্বিত তাপদাহের কারণে গম উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে মে মাসে কাঙ্ক্ষিত ফসল সংগ্রহ করা যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার তখন গম রফতানি নিষিদ্ধ করেছিল।

দেশের বাজারে পর্যাপ্ত চাল সরবরাহ নিশ্চিতে গত মাসে বিদেশে প্রধান এ খাদ্যশস্য রফতানি নিষিদ্ধ করে কেন্দ্র সরকার। রফতানি ফি ২০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়া হয় এবং ভাঙা চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ