নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: জয়পুরহাটের প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের সহায়তা হিসেবে ২০২১-২২ ফসল চাষ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূিচর আওতায় এক কোটি ৬৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের অধিক হারে রবি ফসল উৎপাদনে সহায়তা দানের জন্য কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি চালু করে।

চলতি রবি মৌসুমে জেলার পাঁচ উপজেলার কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় নির্বাচিত কৃষকের সংখ্যা হচ্ছে ১৭ হাজার ২০০ জন। এরমধ্যে রয়েছে গম চাষের জন্য পাঁচ হাজার কৃষক, ভূট্টার জন্য তিন হাজার কৃষক, সরিষার জন্য ৮ হাজার কৃষক, শীতকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য ৫০০ কৃষক এবং মুগ ডাল চাষের জন্য ২০০ জন ও মসুর ডালের জন্য ৫০০ জন কৃষক ।

কৃষি প্রণোদনার আওতায় জেলায় পাঁচ হাজার বিঘা জমিতে গম, ভূট্টা তিন হাজার বিঘা, সরিষা ৮ হাজার বিঘা, শীতকালীন পেঁয়াজ ৫শ বিঘা, মুগডাল ২শ বিঘা ও মসুর ডাল ৫শ বিঘা জমি নির্বাচন করা হয়েছে। পেঁয়াজ চাষের জন্য প্রতিজন কৃষক পাবেন বীজ এক কেজিসহ ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, গম চাষের জন্য প্রতিজন কৃষক পাবেন ২০ কেজি বীজসহ ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার।

ভূট্টা চাষের জন্য নির্বাচিত প্রতিজন কৃষক পাবেন ২ কেজি বীজ , ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার, সরিষা চাষের জন্য প্রতিজন কৃষক পাবেন এক কেজি বীজসহ ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, মুগডাল চাষের জন্য নির্বাচিত প্রতিজন কৃষক পাবেন বীজ ৫ কেজিসহ ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি এবং মসুর ডাল চাষের জন্য নির্বাচিত প্রতিজন কৃষক পাবেন বীজ ৫ কেজিসহ ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার ১০ কেজি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে প্রণোদনা আওতায় প্রান্তিক পর্যায়ে থাকা কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে থাকা কৃষকরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় আগাম রবি ফসল চাষ করতে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে বলেও জানান তিনি।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ