সিয়েরা লিওনের পতাকাবাহী এই জাহাজই ২৬ হাজার টন ভুট্টা নিয়ে গতকাল ইউক্রেনের অডেসা বন্দর ছেড়ে ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল ছবিটি ধারণ ও প্রকাশ করে। ছবি : এএফপি

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ইউক্রেন রাশিয়া ‍যুদ্ধের মধ্যে দেশটির সাথে বন্ধ হওয়া আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার ইউক্রেনের প্রথম শস্যবাহী জাহাজ ছেড়ে গেছে। জাহাজটিতে ২৬ হাজার টন ভুট্টা ছিল বলে জানিয়েছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এটি হচ্ছে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে পাঁচ মাসের বেশি সময় পর কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রথম শস্যবাহী জাহাজ। সিয়েরা লিওনের পতাকাবাহী জাহাজ ২৬ হাজার টন ভুট্টা নিয়ে গতকাল ইউক্রেনের অডেসা বন্দর ছেড়ে ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

দীর্ঘ অচলাবস্থা কাটতে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি একটি চুক্তিতে উপনীত হয় কিয়েভ ও মস্কো। এরই অংশ হিসেবে সোমবার সিয়েরা লিওনের পতাকাবাহী পণ্যবাহী জাহাজ ‘রাজনী’ লেবাননের উদ্দেশে ওডেসা বন্দর ছেড়েছে। সকালেই জাহাজটিকে ধীরে ধীরে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর থেকে বের হতে দেখা গেছে। জাতিসংঘ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২৬ হাজার টন ভুট্টা বহন করছে রাজনী কার্গো জাহাজটি।

পড়তে পারেন: বাড়িতেই হবে ভুট্টার সাইলেজ, দেখুন লাভ-খরচের হিসাব

বিশাল পণ্যবাহী জাহাজটি মঙ্গলবার তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে পৌঁছাবে। রাশিয়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের বন্দরগুলোকে অবরোধ করে রেখেছে। এতে দীর্ঘসময় খাদ্য রপ্তানি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, ‘রাজোনি জাহাজটি ওদেসা বন্দর ছেড়ে লেবাননের ত্রিপোলির উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ২ আগস্ট এটির ইস্তাম্বুলে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ইস্তাম্বুলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এর যাত্রা অব্যাহত থাকবে।’

ইউক্রেনের অবকাঠামোবিষয়ক মন্ত্রী ওলেকসান্দর কুবরাকোভের তথ্য অনুযায়ী, জাহাজটিতে ২৬ হাজার টন ভুট্টা আছে। রাজোনি জাহাজটি তৈরি হয়েছে ১৯৯৬ সালে। এর দৈর্ঘ্য ১৮৬ মিটার এবং প্রস্থ ২৫ মিটার। সিয়েরা লিওনের পতাকার অধীনে চলাচলকারী এ জাহাজটির সক্ষমতা ৩০ হাজার টন।

গত জুলাইয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত শস্য ও সার রপ্তানি চুক্তির আওতায় ইউক্রেন থেকে শস্যবাহী জাহাজের এই যাত্রা সম্ভব হয়েছে। চুক্তির অধীনে ইউক্রেনের বৃহত্তম রপ্তানি বন্দর ওডেসাসহ তিনটি বন্দর দিয়ে শস্য ও সার রপ্তানি হবে। চুক্তিতে চেরনোমোরস্ক, ওদেসা ও পিভদেন্নি বন্দর থেকে জাহাজ ছেড়ে যাওয়া এবং অন্য বন্দর থেকে সেখানে জাহাজ আসার জন্য নিরাপদ পথ নিশ্চিত করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ