ডেস্ক প্রতিবেদন: রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৪৩৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার ইউরিয়া, ডিএপি সার ও ফসফরিক এসিড কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ডিএপি সার, ১২২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ইউরিয়া সার এবং ৬২ কোটি ৯২ লাখ টাকার ফসফরিক এসিড রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে কমিটির সভায় এসব প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত তিনটি আলাদা প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান এই তথ্য জানান।

সার আমদানি প্রসঙ্গে অতিরিক্ত সচিব জানান, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় জি টু জি পদ্ধতিতে সৌদি আরবের মা আদেন থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি হবে। এতে ব্যয় হবে ২৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৫৭৬ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৫৮৯ মার্কিন ডলার।

এছাড়া দেশের কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কিনবে সরকার। এতে মোট ব্যয় দরা হয়েছে ১২২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। প্রতি টনের দাম পড়বে ৩৭১ দশমিক ৩৭ ডলার। যা আগে ছিল ৩১৬ দশমিক ৬২৫ মার্কিন ডলার।

আরও জানা যায়, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১০ হাজার টন ফসফরিক এসিড কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট খরচ হবে ৬২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। টন প্রতি দাম পড়বে ৫৭২ ডলার। যা আগের বছর ছিল ৫৮২ ডলার।