নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ভর্তুকির পাশাপাশি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন সহায়তা বাড়ছে প্রস্তাবিত বাজেটে। সুদ ভর্তুকির আওতায় বিদ্যমান ৪ শতাংশ সুদে বিশেষ কৃষিঋণ আগামী অর্থবছরেও অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, ডাল, তেল, মসলা, ভুট্টাসহ ২৪টি ফসল উৎপাদনের জন্য ৪ শতাংশ সুদে বিশেষ কৃষিঋণ পাবেন কৃষকরা। কৃষিতে বিনিয়োগের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতিবছরই কৃষি ও পল্লীঋণ নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩০.৫৫ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিকে প্রায় ২৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ প্রদান করা হয়েছে।

পড়তে পারেন: বাজেটে কৃষিঋণ হিসেবে কৃষকদের জন্য বরাদ্দ ৫ হাজার কোটি টাকা

এছাড়া করোনা মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় কৃষি ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ৪ শতাংশ করেছি। রেয়াতি সুদে ১৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা কৃষিঋণ প্রদানের জন্য তহবিলের ব্যবস্থা করেছি।

করোনাভাইরাসের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার হচ্ছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এবারের বাজেটের আকার যেমন বড়, তেমনি এ বাজেটে ঘাটতিও ধরা হয়েছে বড়।

পড়তে পারেন: ১৭ হাজার ৫৫ কোটি টাকা ঋণ পেলেন কৃষকরা

অনুদান বাদে এই বাজেটের ঘাটতি দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির সাড়ে ৫ শতাংশের সমান। আর অনুদানসহ বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দুই লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ৪০ শতাংশের সমান।

এটি বর্তমান সরকারের ২৩তম এবং বাংলাদেশের ৫১তম ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর চতুর্থ বাজেট। বাজেটে সঙ্গত কারণেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষিখাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশকিছু খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ