আমানুল হক আমান, (রাজশাহী): রাজশাহী বাঘার ৬০ বছর বয়সী ভ্যান চালক মোজাম্মেল হক। রাগে দুঃখে বলেন, “ছোট নাতিটা কয়েকদিন থেকেই তরমুজ খেতে চাচ্ছে। মনে করেছিলাম বৃহস্পতিবার যা আয় হবে সেটা দিয়ে একটি তরমুজ কিনব। কিন্তু তরমুজের দাম আর চালের দাম সমান সমান। এখন চাল কিনব; না, নাতির জন্য তরমুজ কিনব বুঝতে পারছিনা।”

শনিবার (১ মে ২০২১) উপজেলার আড়ানী ও বাঘাসহ বিভিন্ন বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে তরমুজ। তবে চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি থাকলেও রমজান মাসকে পুঁজি করে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে তরমুজ। স্থানীয়দের অভিযোগ ব্যবসায়ীরা দাম হাঁকাচ্ছেন ইচ্ছেমতো।

এপ্রিলের শুরুতে উপজেলার বাজারে তরমুজের দাম ছিল ২০-৩০ টাকা প্রতিকেজি। কিন্তু সেটি এখন বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে প্রতিকেজি ৫০-৫৫ টাকা। ফলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে রমজানে দাম সহনশীল রাখার যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিলো তা মুখ থুবড়ে পড়েছেন। রমজানের শুরু থেকেই ব্যবসায়িরা সে প্রতিশ্রুতি থেকে সরে দাঁড়ান। এক কেজি তরমুজ কিনতে হলে এক কেজি চালের দাম গুনতে হচ্ছে।

দাম বাড়ার কারন এবং কেজিতে বিক্রয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বাঘা বঙ্গবন্ধু চত্তরের ব্যবসায়ী নাজিমুদ্দিন বলেন, মোকামে বেশি দামে তরমুজ কিনতে হচ্ছে। তাই কম দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।

ফল ব্যবসায়ী মিলন হোসেন বলেন, ‘লকডাউনের’ কারণে বাইরে থেকে তরমুজ আনতে পারছি না। স্থানীয় মোকামে দাম বেশি হওয়ায় আমরাও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্চে। দোকান ভাড়া ও পরিবহন খরচ ধরে তরমুজ বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া কিছু করার নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন, ‘লকডাউনের জন্য জারিকৃত সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কৃষিপণ্য বিক্রি করতে হবে। কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করার জন্য নির্দেশ দো হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/জেআ