কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবি থেকে, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: এশিয়া ও আফ্রিকা অঞ্চলের ২০টি দেশে বাংলাদেশের উদ্ভাবিত ধানের জাত চাষ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইমিরেটাস প্রফেসর ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর ড. এম.এ. সাত্তার মন্ডল।

এ সময়ে তিনি বলেন, ইলিশ মাছের জিনোম সিকুয়েন্স ও পাটের জিনোম সিকুয়েন্স আমাদের সাফল্য।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ময়মনসিংহ) (বাকৃবি) ‘বাংলাদেশের খাদ্য, কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন : অর্জন ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময়ে তিনি এ তথ্য উল্লেখ করেন।

বাকৃবি’র রিসার্স সিস্টেম (বাউরেস) এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ড. এম.এ. সাত্তার মন্ডল বলেন, সমগ্র বিশ্বে আজ বাংলাদেশের বিভিন্ন কৃষি পণ্য যেমন সবজি উৎপাদনে ৩য়, পুকুরে মাছ চাষে ৩য়, চাল উৎপাদনে ৪র্থ, আম ৭ম এবং আলু উৎপাদনে ৮ম অবস্থানে।

সেমিনারে বাউরেস’র পরিচালক প্রফেসর ড. এম.এ.এম. ইয়াহিয়া খন্দকার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাকৃবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলী আকবর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাকৃবি’র প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. জসিম উদ্দিন খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মো: আলী আকবর বলেন, কৃষি পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ সরকার আজ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে এবং কৃষির এ অগ্রগতির ফলে ২০৪১ সালের আগে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে পরিনত হবে।

তিনি বাংলাদেশের সকল কৃষিবিদদেরকে কৃষির উন্নয়নের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।

সেমিনারে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ের পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন, কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড মোঃ জহির উদ্দিন, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ বাহাদুর মিঞা, কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ মঞ্জুরুল আলম ও কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠিত সেমিনারে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।