অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম কমতির দিকে রয়েছে। পাইকার বাজার হিলিতে কেজিতে আদার দাম কমেছে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
শনিবার (৯ মে, ২০২০) বণিক বার্তা সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
দাম কমতির বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমটিতে উল্লেখ হয়েছে, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউনের মাঝে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি পুনরায় শুরু হয়েছে।
এসব কারণে দুই দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা কমেছে। এছাড়া রোজা উপলক্ষে টিসিবির পক্ষ থেকে স্বল্পমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা দেয়ায় আদার দামের ওপর প্রভাব পড়েছে।
তবে সবচেয়ে বেশি কমেছে আদার দাম। গতকাল হিলির পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে আমদানি করা আদা কেজিপ্রতি ১৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। দুই দিন আগেও এসব আদার কেজি ২৮০ টাকার ওপরে ছিল। অর্থাৎ দুই দিনেই আদার কেজি ১০০ টাকা কমেছে।
পেঁয়াজ ও রসুনের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ১০–২০ টাকা। গতকাল হিলির পাইকারি বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। দুই দিন আগেও পণ্যটি কেজিপ্রতি ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। গতকাল প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হয় ১০০ টাকায়। দুই দিন আগে প্রতি কেজি রসুনের দাম ছিল ১২০ টাকা। সেই হিসেবে রসুনের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমেছে।
হিলির পাইকারি বাজারে পণ্য কিনতে এসেছিলেন সিরাজুল ইসলাম। বণিক বার্তার সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছু বন্ধ থাকায় রোজগারে টান পড়েছে।
এ পরিস্থিতিতে পেঁয়াজ, রসুন, আদার মতো নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম চাপের মধ্যে ফেলেছে। এখন এসব পণ্যের দাম কমতে শুরু করায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে। টিসিবি ২৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করলে স্বল্প আয়ের মানুষদের আরো উপকার হবে।
সংবাদ মাধ্যমে হিলি পাইকারি বাজারের পেঁয়াজ ও মসলাপণ্য ব্যবসায়ী শাকিল খান জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদার সিংহভাগ আদা আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। হিলিসহ বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আদা আমদানি করা হয় ভারত থেকে।
নভেল করোনাভাইরাস মহামারীতে লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি–রফতানি বন্ধ ছিল। সরবরাহে লাগাম টানায় বাড়তে শুরু করেছিল আদাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম।
তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি–রফতানি কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। ফলে আগের তুলনায় বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে।
কমতে শুরু করেছে দাম। একই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজ–রসুনের সরবরাহে বাধা কাটতে শুরু করেছে। এসব পণ্যের বাজার পরিস্থিতিতে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আমদানি ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে আসন্ন ঈদের আগে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকতে পারে।
পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম কমতির দিকে হওয়ায় খুচরা বাজারেও এসব পণ্যের দাম কমলে সুফল পাবেন ভোক্তারা।