নিজস্ব্ প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজধানীর বাজারগুলোতে এক সপ্তাহ আগে সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৩০ টাকা কেজি। এই মুরগি গতকাল শনিবার বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি সোনালী মুরগির দাম বেড়েছে ৫০ টাকা।

সেই সাথে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও। ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়। ১০০ টাকা ডজনের ডিম ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা। চালকুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, এছাড়া ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচকলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ছোট এক আঁটি লালশাক বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, মুলাশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা ও কলমিশাক ১০টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে।

শীতের আগাম সবজি শিম ও ফুলকপির সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর ও টমেটো। শিম কিনতে ক্রেতাদের কেজিতে ১৬০-২০০ টাকা গুণতে হচ্ছে। আর ছোট একটা ফুলকপি কিনতে লাগছে ৩০-৫০ টাকা। টমেটো ও গাজর কিনতেও ক্রেতাদের কেজিতে ১০০ টাকার ওপরে খরচ করতে হচ্ছে। এ সব বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।

সবজির দাম বাড়ছে কেন জানতে চাইলে খিলগাঁওর সবজি ব্যবসায়ী সাত্তার বলেন, শীতের আগাম সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। এ জন্য সবজির বাজার কিছুটা বেশি। তবে সরবরাহ দিন দিন বাড়ছে। কিছু দিন পর সরবরাহ আরও বাড়বে। তখন সবজির দাম কমে আসবে। বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৮ থেকে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। দেশী মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।

মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৩০ টাকা। এছাড়া মৃগেল মাছ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, পাবদা মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকায় এবং পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। বাজারে ছোট-বড় সব ধরনের ইলিশেরও দেখা মিলছে। তবে দাম এখনো সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালে বাইরেই। বড় (এক কেজির বেশি ওজনের) ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা আর ছোট ইলিশ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির গোশত। প্রতিকেজি গরুর গোশত ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা ও খাসির গোশত ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম বাড়ার বিষয়ে বাসাবোর ব্যবসায়ী সুমন বলেন, হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোতে বিক্রি বাড়ায় মুরগির চাহিদার সঙ্গে দামও বেড়েছে। বাজারে মুরগির চাহিদা বেড়েছে, অন্যদিকে সরবরাহ কমেছে। এ কারণে গত কয়েক দিনে পাইকারিতে মুরগির দাম অনেক বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমতে পারে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ