নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশের মাটি চাষ উপযোগী আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন নতুন দুই মডেলের পাওয়ার টিলার নিয়েছে এসিআই মটরস।

নতুন এ দুই মডেলের পাওয়ার টিলারে খরচ কমবে, জমির উর্বরাশক্তি ধরে রাখার পাশাপাশি দ্রুততার সাথে কাজ করা যাবে। এছাড়া ব্যবহারও বেশ সহজ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ পাওয়ার টিলার রয়েছে। কিন্তু এসব পাওয়ার টিলার জমির গভীরে গিয়ে চাষ করতে পারছে না। এতে করে মাটির নির্দিষ্ট পরিমান নিচে শক্ত স্তর তৈরি হচ্ছে।

আর জমির উর্বরাশক্তিও ধরে রাখা যাচ্ছে না। আবার হাওড় অঞ্চলের নরম মাটির জন্য প্রয়োজন হালকা যন্ত্র। ফলে চাষের মাটি অনুসারে চাহিদা বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের পাওয়ার টিলারের। এ ধরনের চাহিদা মেটাতে এসিআই মটরস নিয়ে এসেছে দুটি নতুন মডেল।

জানা গেছে, অধিকাংশ পাওয়ার টিলার ১২ হর্সপাওয়ার ইঞ্জিনে চালিত ১৮ ফলা বা লাঙ্গল। এসব হর্সপাওয়ার গভীরভাবে জমি চাষের অনুপযোগী। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ ও বরেন্দ্র অঞ্চলের শক্ত মাটিতে এসব সনাতন যন্ত্রপাতি হয়ে পরছে বাবহারের অনুপযোগী।

তাই কৃষক এখন ঝুঁকে পরছে অধিক শক্তিশালি ও অধিক কর্ষণ ক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার টিলার এর দিকে। বার একই জমি চাষ এর ফলে জমির ৩.৫-৭ ইঞ্চি গভীরে তৈরি হচ্ছে শক্ত স্তর। যা প্রথাগত পাওয়ার টিলার দিয়ে সঠিকভাবে চাষ করা সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি বিভাগের অধ্যাপক ও জরিপের সমন্বয়ক মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, সার্বিকভাবে কৃষিতে শ্রমিকসংকট ও উৎপাদন বাড়াতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই। স

ঠিক যন্ত্র যেমন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে হবে তেমনি যন্ত্রটি যাতে সঠিকভাবে জমি চাষে ব্যবহার করা যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। জমি চাষের জন্য এখন বেশি হর্সপাওয়ার ইঞ্জিন চালিত পাওয়ার টিলারের প্রয়োজন।

জানা গেছে, জমির গভীরে চাষের জন্য এসিআই মটরস আর ২৮ মডেলের পাওয়ার টিলার নিয়ে এসেছে। যন্ত্রটি ২৫ হর্সপাওয়ার ইঞ্জিন চালিত।

চাষের জন্য ২৮ টি ফলা বা লাঙ্গল থাকায় জমির ৫-৭ ইঞ্চি গভীরে চাষ করা যায়। এতে শক্ত স্তর ভেদ করে উর্বর চাষ ও অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব। অন্যান্য পাওয়ার টিলার ১৮ ফলায় ৬০০ মিলিমিটার সারি ধরে চাষ করে, সেখানে আর ২৮ মডেলের পাওয়ার টিলার ২৮ ফলায় ৯০০ মিলিমিটার সারি চাষ করতে সক্ষম। তাই এতে জমি চাষ দেড় গুন বেশি করা সম্ভব।

এ বিষয়ে এসিআই মটরসের পরিচালক (সার্ভিস এ্যান্ড প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট) ইঞ্জিনিয়ার আসিফ উদ্দীন বলেন, ২৫ হর্সপাওয়ার ইঞ্জিন ডাইরেক্ট ফুয়েল ইঞ্জেকশান সিস্টেম হওয়ায় তেল খরচ কমবে প্রায় ৭ শতাংশ।

অন্যান্য পাওয়ার টিলার যেখানে প্রতি লিটার ডিজেলে ২৬ শতক চাষ হয়, আর ২৮ মডেলের পাওয়ার টিলার সেখানে চাষ করে ২৮ শতক জমি। সারা দেশজুড়েই বিক্রয়ত্তোর সেবা ও খুচরা যন্ত্রাংশের নিশ্চয়তার মাধ্যমে কৃষককে সেবা দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের হাওর ও নিুভুমির কৃষকের চাষকে আরও সহজতর করতে এসিআই মটরস নিয়ে এসেছে স্মার্ট পাওয়ার টিলার। মেশিনটি সম্পূর্ণ নতুন লৌহ আকরিক থেকে তৈরির কারনে এর চেসিস বাজারের অন্যসব পাওয়ার টিলারের থেকে দিগুন মজবুত ও অধিক দীর্ঘস্থায়ী।

বাংলাদেশের একমাত্র ওয়াকিং টাইপ পাওয়ার টিলার হলো এসিআই স্মার্ট পাওয়ার টিলার। এতে আছে ‘হ্যান্ড লিভার ও ‘বেল্ট টাইপ গিয়ার সিস্টেম।

যার সাহায্যে কৃষক খুব সহজেই ইঞ্জিনকে আলাদা করা ছাড়াই পাওয়ার টিলারকে চালোনা ও বন্ধ করতে পারে। এতে আরপিএম কনট্রোলার থাকায় কৃষক খুব সহজেই তার পাওয়ার টিলারের গতি নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন।

সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পাউডার কোটেড পেইন্ট থাকায় মেশিনটি দেখাবে অধিক উজ্জল। এছাড়া দীর্ঘস্থায়ী এবং মরিচা প্রতিরোধী। পাওয়ার টিলারটির ডিস্ক ধারালো যা সহজেই দ্রুততার সাথে মাটি কাটে। সঠিক মাপের ও অধিক লোড নেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন চাকা মাটিকে সাথে সাথেই ভেঙ্গে ফেলতে সক্ষম।