কৃষি বিষয়ক ৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কৃষি বিষয়ক ৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা কাল শনিবার (৩০ নভেম্বর ২০১৯) সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হবে।

 দেশে প্রথমবারের মতো কৃষি ও কৃষিপ্রাধান্য বিষয়ক ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা একযোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবার সমন্বিত এ ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), ময়মনসিংহ।

এবার ভর্তি পরীক্ষায় ৭৫ হাজার ৯৩৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। ৩ হাজার ৫৫৫টি আসনের বিপরীতে এবার এসএসসি ও এইচএসসি মিলে সর্বনিম্ন ৯.১৫ জিপিএধারী মোট ৩৫ হাজার ৯৮২ জনকে ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ প্রদান করা হয়েছে।



ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সাহায্য-সহযোগিতায় প্রতিটি পয়েন্টে বসানো হয়েছে হেল্প ডেক্স। পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় মাঠে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, বিভিন্ন জেলা সমিতিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীসংগঠন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে বর্ণিল স্টল। নিজ জেলা থেকে আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যেকোন প্রয়োজনে দিক নির্দেশনাসহ আবাসনের ব্যবস্থা করছে জেলা সমিতিগুলো। পিছিয়ে নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদভিত্তিক ছাত্র সমিতি।

ভর্তিচ্ছুদের কাছে অনুষদ পরিচিতি তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন তারা। ভর্তিচ্ছুদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে থাকার ব্যবস্থাও করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

ভর্তি কমিটি সূত্রে জানা গেছে, কৃষি ও কৃষির প্রাধান্য থাকা সাতটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিতভাবে ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তত্বাবধানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।

ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেলা ১১টায় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে আসনবিন্যাসও প্রকাশ করা হয়েছে। বাকৃবিতে ১৬ টি অঞ্চলে ২৩৪ টি কক্ষে মোট ১২ হাজার ৬৭৫ জন পরীক্ষার্থীর আসন ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ কৃষি  বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক ভর্তি প্রক্রিয়া দেশের সকল মহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত।

 এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীতে প্রশ্ন ফাঁসের কোনো রেকর্ড নেই। এটি আমাদের ঐতিহ্য। আমাদের সম্মানিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ছাত্র নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা, কর্মচারি ও স্থানীয় প্রশাসনসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের সম্মিলিত উদ্যম ও নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এই দুর্লভ সুনাম অর্জন সম্ভব হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দীর্ঘদিনের অর্জিত এই গৌরবোজ্জ্বল ধারাকে অব্যাহত রাখা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব ।

এ জন্য প্রতিবারের মতো সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াতি রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।

উপাচার্য বলেন, ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের নির্দেশনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলতে হবে। কোনো অসৎ উপায় অবলম্বন করলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ক্যাম্পাসে প্রচারিত এক বাণীতে বলেন,“বাংলাদেশে কৃষিক্ষেত্রে দৃশ্যমান সাফল্যগুলোর কৃতিত্ব এ দেশের কৃষক ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটবৃন্দের, এটি সর্বজনবিদিত

তিনি আরও বলেন, এই প্রেক্ষাপটে এবার অনুষ্ঠেয় লিখিত ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল ও সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে  আন্তরিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য আমি সম্মানিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারি, ছাত্র নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গণমাধ্যম এবং সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।

সকলের সার্র্বিক সহায়তায় আমরা সফলভাবে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম সুসম্পন্ন করতে পারবো বলে আমার দৃঢ় আশাবাদ, তিনি মন্তব্য করেন।