ঘূর্ণিঝড় ফণী’র কারণে কৃষি

ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ঘূর্ণিঝড় ফণী’র কারণে কৃষি আবহাওয়ায় বিশেষ সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। এ সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সতর্কতায় থাকতে হবে।

কৃষি তথ্য সার্ভিস এর ওয়েব পোর্টালে প্রকাশিত করা হয়েছে এসব তথ্য। বিশেষ আবহাওয়া বুলেটিন সিরিয়াল নং-৩০ (বিএমডি) বলা হয়েছে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বগুড়া, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর,ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ওই জেলাগুলোতে অতি ভারী বর্ষণের সাথে তীব্র বেগে বাতাস হওয়ার কারণে দন্ডায়মান ফসলের ক্ষতি হ্রাস কমানোর লক্ষ্যে নিচের বিশেষ কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ জরুরী ভাবে প্রেরণ করা হলো।

১. বোরো ধান ৮০% পরিপক্ক হলে দ্রুত ফেলার পরামর্শ দেয়া হলো। অন্যথায় ঘূর্ণিঝড়ে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হতে পারে। ২. পরিপক্ক চিনাবাদাম, উদ্যান ফসল ও সবজি দ্রুত সংগ্রহ করে নিতে হবে।

৩. সেচ নালা পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে ধান ও পাটের জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে। ৪. ক্ষেতের চারপাশে উচুঁ বাধঁ দিতে হবে যাতে পানির স্রোত দন্ডায়মান ফসলে ক্ষতি করতে না পারে।

৫. দন্ডায়মান ফসলের ২/৩ টি গাছকে একত্রে বেধে রাখা যাতে সহজে পড়ে না যায়। ৬. অতি বৃষ্টি ও ঝড়ে যে গাছগুলি মাটিতে পড়ে যাবে তা অতি দ্রুত উপড়ে সরিয়ে ফেলতে হবে।

৭. যেহেতু ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ভেসে যেতে পারে তাই এই মুহুর্তে বীজ বপন ও চারা রোপন থেকে বিরত থাকতে হবে।

৮. সেচ, সার ও কীটনাশক প্রদান আপাতত বন্ধ রাখতে হবে। ৯. গবাদিপশু/হাঁস-মুরগীকে নিম্ন স্থান থেকে উচ্চ স্থানে স্থানান্তর করতে হবে এবং নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে ।

১০. উচ্চ বাতাস প্রবাহের সাথে উচ্চ জোয়ার এবং রুক্ষ সমুদ্রের কারণে জেলেদের মাছ ধরার জন্য সমুদ্রের ভিতর না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো ।

এক নজরে হাওড় অঞ্চলের নদ-নদী পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস (এফ এফ ডব্লিউ সি)

দেশের উত্তর-পুর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় “ফণীর প্রভাবে বাংলাদেশের

উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতীয় অঞ্চল সমূহের কতিপয় স্থানে আগামী ৭২ ঘন্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

আগামী ৭২ ঘন্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের বিশেষত: সুরমা, কুশিয়ারা, কংস, যদুকাটা ও তিস্তা নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কোথাও কোথাও বিপদ সীমা অতিক্রম করে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে।

সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রংপুর, কুড়িগ্রাম, কিশোরগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, নরসিংদি, লালমনিরহাট, মৌলভীবাজার ও নেত্রকোনা জেলার জন্য বিশেষ কৃষি আবহাওয়া বার্তা:

১. বোরো ধান ৮০% পরিপক্ক হলে অবিলম্বেকেটে ফেলার পরামর্শ দেয়া হলো।

২. সেচ নালা পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে ধান ও পাটের জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে। ৩. ক্ষেতের চারপাশে উচুঁ বাধঁ দিতে হবে যাতে পানির উচ্চতা দন্ডায়মান ফসলে ক্ষতি করতে না পারে।

৪. যেহেতু ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ভেসে যেতে পারে তাই এই মুহুর্তে বীজ বপন, সেচ, সার ও কীটনাশক প্রদান আপাতত বন্ধ রাখতে হবে। ৪. ক্ষেতের চারপাশে উচুঁ বাধঁ দিতে হবে যাতে পানির শ্রোত দন্ডায়মান ফসলে ক্ষতি করতে না পারে।

৫. যেহেতু ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ভেসে যেতে পারে তাই এই মুহুর্তে বীজ বপন ও চারা রোপন থেকে বিরত থাকতে হবে।

৬. সেচ, সার ও কীটনাশক প্রদান আপাতত বন্ধ রাখতে হবে। ঘূর্ণিঝড় ফণী’র কারণে কৃষি আবহাওয়ায় বিশেষ সতর্কবার্তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া উচিত হবে।

আরও পড়ুন: খুব সহজ পদ্ধতিতে শিম উৎপাদন প্রযুক্তি