মাছের পেট ফোল রোগ

মৎস্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মাছের পেট ফোল রোগ হলে বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যায় পরতে হয়। আসুন জেনে নেয়া যাক মাছের পেট ফোলা রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও ওষুধ প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।

এ রোগকে কখনো অবহেলা করা উচিত নয়। তাতে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এছাড়া পুকুরে ভালো মাছের ফলন পেতে নিয়মিত সববিষয়ে খোঁজও রাখতে হবে।

আক্রান্ত মাছের প্রজাতির মধ্যে অন্যতম হলো রুই জাতীয় মাছ, শিং মাগুর ও পাঙ্গাস মাছ।

রোগের লক্ষন কারণ: মাছের দেহের রং ফ্যাকাশে হয়ে যায় এবং পানি ও সঞ্চালনের মাধ্যমে পেট ফুলে যায়। মাছ ভারসাম্যহীন ভাবে চলাচল করে এবং পানির ওপর ভেসে থাকে। অচিরেই আক্রান্ত মাছের মৃত্যু ঘটে। এ্যারোমোনাড্স ব্যাকটেরিয়া এ রোগের কারণ।

আরও পড়ুন: শীতকালে মাছের রোগ প্রতিরোধে আগাম প্রস্তুতিতে যা করতে হবে

চিকিৎসা এবং ওষুধ প্রয়োগ: খালী সিরিঞ্জ দিয়ে মাছের পেটের পানিগুলো বের করে নিতে হবে। প্রতি কেজি মাছের জন্য ২৫ মিঃ গ্রাঃ হারে ক্লোরেমফেনিকল ইনজেকশন দিতে হবে। অথবা,

প্রতি কেজি খাবারের সাথে ২০০ মিঃ গ্রাঃ ক্লোরেমফেনিকল পাউডার মিশিয়ে সরবরাহ করতে হবে।

প্রতিষেধক/প্রতিকার: প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করুন। মাছের খাবারের সাথে ফিশমিল ব্যবহার করুন।

মাছকে সুষম খাদ্য সরবরাহ করবেন। প্রাকৃতিক খাবার হিসেবে প্লাংকটনের স্বাভাবিক উৎপাদন নিশ্চিত করুন।

মাছের পেট ফোলা রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও ওষুধ প্রয়োগ পদ্ধতি সংবাদটি তৈরিতে তথ্য সহযোগিতা নেয়া হয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে।

আরও পড়ুন: পুকুরে নিয়মিত প্রোবায়োটিকস প্রয়োগ পদ্ধতি ও গুরুত্ব

পাঠক মাছ নিয়ে কোন ধরণের সমস্যা বা পরামর্শ দরকার হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ম্যাসাঞ্জারে জানাতে পারেন। আমরা আপনার সমস্যা বিশেষজ্ঞদের কাছে তুলে ধরে তার সমাধান জানাবো। এছাড়া আপনার অভিজ্ঞতা, পরামর্শ এবং মাছ চাষের খবর তুলে ধরতে পারেন।