পুকুরে নিয়মিত প্রোবায়োটিকস প্রয়োগ

মুহাম্মদ সালাহ উদ্দীন রাশেদ, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর মৎস্য চাষে ‘প্রোবায়োটিকস’ এর নাম অনস্বীকার্য। আজ এ পর্বে পুকুরে নিয়মিত প্রোবায়োটিকস প্রয়োগ পদ্ধতি ও গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুল ধরবো।

বিশ্বব্যাপী সবচাইতে জনপ্রিয়, সর্বাপেক্ষা কার্যকরি ও সহজে ব্যবহার্য বায়ো-প্রযুক্তি হচ্ছে প্রোবায়োটিকস। প্রো অর্থ উত্তম বা উপকারি আর বায়ো মানে জীবন বা প্রাণ (মূলতঃ অণুজীব বা ব্যাকটেরিয়াকে বোঝায়) এবং টিকস মানে প্রযুক্তি।



অর্থাৎ ক্ষুদ্র ও উপকারি অণুজীবকে ব্যবহার করে যে প্রযুক্তি, তাকেই প্রোবায়োটিকস টেকনোলজি বলা হয়। মাছ বা চিংড়ি চাষে প্রোবায়োটিকস বা উপকারি ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য অণুজীবের প্রয়োগ বর্তমানে প্রায় সর্বময় সমস্যা সমাধানেই প্রচলিত হচ্ছে।

যেমনঃ পুকুরের তলানির জৈব বর্জ্য অপসারণে, অ্যামোনিয়া ও ক্ষতিকর গ্যাস নিয়ন্ত্রণে, প্ল্যাঙ্কটন ও pH নিয়ন্ত্রণে, ক্ষতিকর জীবাণু প্রতিরোধে, বিভিন্ন রোগ-বালাই দমনে, মাছ ও চিংড়ির দৈহিক বৃদ্ধি ও খাদ্যগ্রহণ বৃদ্ধিতে, অন্ত্রের সুরক্ষায় এবং সর্বতোভাবে পুকুরের সামগ্রিক বাস্তুতন্ত্র চাষের উপযোগী রাখতে প্রোবায়োটিকসের কোন বিকল্প নেই।

বর্তমানে দেশে প্রপস, বায়োফ্যাব অ্যকুয়া, অ্যাকুয়া ক্লিয়ার-এস ইত্যাদি বাজারে বহুল প্রচলিত। এছাড়াও অ্যামোনিয়া নিয়ন্ত্রক ও খাদ্য চাহিদা বর্ধক ইউকা ও ছয়টি শক্তিশালী প্রোবায়োটিকসের সমন্বয়ে ‘ইউকা সিক্স প্রো’ মাছ ও চিংড়ি চাষে হতে পারে অত্যন্ত ফলপ্রসূ সমাধান।

এতে থাকা শক্তিশালী প্রোবায়োটিকস সমূহ ক্ষতিকর অণুজীব বা জীবাণু নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর। উল্লেখ্য যে, জীবাণুনাশক প্রয়োগের এক সপ্তাহ পরে পুকুরে প্রোবায়োটিকস প্রয়োগ করলে, পুকুরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত দৃঢ় হয়। মাছ ও চিংড়ির অন্ত্রের সুরক্ষায় সেইফগাট,জিপিএএবং সেপ্রোমিক্স গাট প্রোবায়োটিকস সমূহ বেশ কার্যকরি।

পুকুরে নিয়মিত প্রোবায়োটিকস প্রয়োগ পদ্ধতি ও গুরুত্ব লেখাটির লেখক; মুহাম্মদ সালাহ উদ্দীন রাশেদ, এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (অ্যাকুয়া) আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লি.।

আরও পড়ুন: পুকুরে নিয়মিত লবণ ও জীবণুনাশক প্রয়োগের গুরুত্ব