শীর্ষ চাল আমদানিকারক হতে

অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বিশ্বের শীর্ষ চাল আমদানিকারক হতে যাচ্ছে ফিলিপাইন! অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম কমিয়ে আনতে আমদানি নির্বিঘ্ন রাখার অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার।

আর এই বাড়তি আমদানি হওয়ার সম্ভাবনায় চলতি বছর বিশ্বের শীর্ষ চাল আমদানিকারকের জায়গা দখলে নিতে পারে ফিলিপাইন। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইএএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসেসের (এফএএস) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করেছে। খবর ইনকোয়ারার। সূত্র: বণিক বার্তা।



এফএএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর শেষে ফিলিপাইনে রেকর্ড পরিমাণ চাল আমদানি হতে পারে। এ সময় দেশটিতে ৩০ লাখ টনের মতো চাল আমদানি হতে পারে, যা দেশটির এ যাবত্কালের সর্বোচ্চ। এমনকি বিশ্বের মধ্যেও সর্বোচ্চ আমদানি হবে এটি।

বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ চাল আমদানিকারক চীন। ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে এ বছর ২৫ লাখ টন চাল আমদানি হতে পারে।

যদিও এর আগের মাসের প্রাক্কলনে দুটো দেশকেই শীর্ষ অবস্থানে রেখেছিল মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রাক্কলনে বলা হয়েছিল, চলতি বছর দুটো দেশেরই চাল আমদানির পরিমাণ ৩১ লাখ টনে পৌঁছতে পারে।

কয়েক বছর ধরে চাল আমদানি বাড়িয়ে চলেছে ফিলিপাইন। এর মধ্যে গত বছর দেশটির আমদানির পরিমাণ ছিল ১৯ লাখ টন। সেই হিসাবে, চলতি বছর দেশটির আমদানি বাড়তে পারে ৫৮ শতাংশ। আর ২০১৭ সালের তুলনায় এ সময় আমদানি বাড়তে পারে ২৭৫ শতাংশ।

গত মার্চে চাল আমদানিতে শুল্ক নীতিমালা করে নতুন আইন করে ফিলিপাইন সরকার। নতুন এ আইন অনুযায়ী, ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনমতো যত ইচ্ছা চাল আমদানি করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে তাদের ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।এ আইনের পর থেকে দেশটিতে চাল আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও ফিলিপাইন স্ট্যাটিস্টিকস অথরিটি (পিএসএ) বলছে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে দেশটির ১৯ লাখ টন চাল আমদানির প্রয়োজন হতে পারে।

খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নতুন এ আইনের ফলে দেশে চালের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যাবে। পিএসএর তথ্যও বলছে, মার্চের পর থেকে চালের দাম কমতির দিকে রয়েছে।

এর মধ্যে সাধারণ মানের চালের দাম কমে প্রতি কেজি ৩৭ দশমিক ২২ পেসো (স্থানীয় মুদ্রা) এবং ভালো মানের চাল কমে কেজিপ্রতি ৪১ দশমিক ৮৯ পেসোতে দাঁড়িয়েছে। সেই হিসাবে, এ দুই ধরনের চালের দাম গত বছরের তুলনায় যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৩ ও ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।

এদিকে আমদানি বৃদ্ধির ফলে দেশের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে কৃষক পর্যায়ে ধানের দাম আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। পাশাপাশি আমদানীকৃত চালের সঙ্গে দেশে উৎপাদিত চাল প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

শীর্ষ চাল আমদানিকারক হতে যাচ্ছে ফিলিপাইন! সংবাদটির তথ্য বণিক বার্তা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।