আবু হাসাদ (পুঠিয়া প্রতিনিধি) রাজশাহী: মসলা ফসল চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। তেমনি একটি উল্লেখযোগ্য মসলা হলুদ। ভারত, বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রান্নায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত এই কালারফুল মসলা। বর্তমানে হলুদের ভালো দামে খুশি রাজশাহীর চাষিরা। গত কয়েক বছর টানা ভালো দাম পাওয়া চলতি বছর হলুদের দাম ভালো পেয়ে স্বস্তিতে আছেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর পুঠিয়া উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে চারশত হেক্টোর জমিতে হলুদ চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪০ হেক্টোরের বেশি পরিমাণে জমিতে হলুদ চাষের বৃদ্ধি পেয়েছে।
আর উৎপাদন লক্ষমাত্রা নিধারন করা হয়েছে ৮ হাজার ৪শ’ ২০ মে.টন হলুদ। উপজেলার সর্ববৃহৎ বানেশ্বর ও ঝলমলিয়া হাট ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর হলুদের বাজারে বিগত দিনের চেয়ে বেশি হলুদ আসছে। তবে বাজারে হলুদের ভালো দাম থাকায় চাষীরাও সন্তোষ প্রকাশ করছেন।
বানেশ্বর হাটে আগত হলুদ চাষী কাওসার আলী জানান, হলুদ এমন একটি চাষাবাদ যা সার থেকে শুরু করে কীটনাশক পর্যন্ত অনেক কম পরিমাণে লাগে। আর বাজারে চাহিদাও অনেক এবং দামটা অনেক ভালো পাওয়ায়। আমার অন্য আবাদে জমিতে এবার আমি হলুদ চাষ করেছি বাজারের চাহিদা থাকায় আমাকে হলুদ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। এবং আমাদের এলাকায় অন্যবারের চেয়ে এবার অনেক হলুদ চাষের সংখ্যা ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:
পুঠিয়ায় হলুদ ফুলে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা
হলুদের অর্থ স্বপ্নে বিভোর যশোরাঞ্চলের কৃষকরা
চাষ করতে পারেন বিনাহলুদ-১, প্রতিগাছে ফলন ১ কেজি
হলুদ ব্যবসায়ী আজগর উদ্দিন বলেন, এবার বাজারে হজের চাহিদা অনেক বেশি থাকায় হলুদ নিয়ে কোন কৃষককে কষ্ট পোড়াতে হচ্ছে না। বিগত বছরের থেকে বাজারে দামও বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক। হাটে প্রতিমন হলুদ প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৬ শত টাকা থেকে এক হাজার ৩ শ’ টাকা পর্যন্ত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের মাঠকর্মীরা কৃষকদের কাছে গিয়ে হলুদ চাষের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন এবং সে পরামর্শ মোতাবেক কৃষকরাও জমিতে পরিচর্যা করে ভালো পরিমাণের ফলনও পাচ্ছে ভালো। গত বছরের থেকে এ বছরে হলুদ চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সাথে বাজারে দামটাও অনেক ভালো পাচ্ছে কৃষকরা।
এগ্রিকেয়ার/এমএইচ