ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে অঘোষিত লকডাউনের কারণে বরগুনার আমতলী ও তালতলী দুই উপজেলার খামারিরা উৎপাদিত হাঁস-মুরগি-ডিম বিক্রি করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন। ধারাবাহিক লোকসানের মুখে একের পর এক খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে এই শিল্পে জড়িত অন্তত সহস্রাধিক মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন।  সরকারের কাছে সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ঋণসহ আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন তারা।

প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ছোট-বড় মিলে চার শতাধিক পোল্ট্রি খামার রয়েছে। এ সব খামারের সঙ্গে সহস্রাধিক মানুষ জড়িত। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে এ সব খামারে আর্থিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। তাদের উৎপাদিত হাঁস-মুরগি-ডিম বিক্রি করতে পারছেন না। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা। অনেক খামারি লোকসানে পড়ে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন।

তালতলী উপজেলার লেমুয়া গ্রামের তালহা পোল্ট্রি ফার্মের মালিক মো. রহিম কাজী বলেন, ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১ হাজার সোনালী মুরগি লালন-পালন করছি। মুরগি বিক্রির উপযোগী হলেও করোনার প্রভাবে বিক্রি করতে পারছি না। বর্তমান অবস্থায় পোল্ট্রি শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে স্বল্প সুদে ঋণের দাবি জানান তিনি।

আমতলী উপজেলার গাজীপুর বন্দরের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী শাহীন হাওলাদার বলেন, ব্যবসায়ে ধস নেমেছে। ইতিমধ্যে ৮৫ হাজার টাকা লোকসান দিয়ে খামার বন্ধ করে দিয়েছি। সরকার আমাদের বিশেষ প্রণোদনা দিলে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারতাম।

আমতলী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আতিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে পোল্ট্রি শিল্পে অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমেছে। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বিশেষ প্রণোদনার প্রয়োজন।

তালতলী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. সৈয়দ আলতাফ হোসেন বলেন, বর্তমান অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের নগদ প্রণোদনা দিলে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে। সূত্র:যুগান্তর।