অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: টানা কয়েক মাস মূল্য বৃদ্ধির পর অবশেষে কমলো ভোজ্যতেলের দাম। রাজধানীর পাইকারি বাজারে গত এক থেকে দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা ভোজ্যতেলের দাম মণপ্রতি সর্বোচ্চ ৪৫০ টাকা কমেছে।

তবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও খোলা ভোজ্যতেল খুচরায় কিছুটা কমেছে।

জানা গেছে, গত এক থেকে দেড় সপ্তাহ আগে পরিবেশক পর্যায়ে প্রতি মণ সয়াবিন তেলের দাম ছিল চার হাজার ৩৫০ থেকে চার হাজার ৪৫০ টাকা। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে তিন হাজার ৯০০ থেকে চার হাজার ২০ টাকা। অর্থাৎ এ সময়ের ব্যবধানে মণপ্রতি দাম কমেছে ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা। কেজিপ্রতি দাম কমেছে ১১ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২ টাকা ছয় পয়সা। পাম ও সুপার পাম তেলের দামও কমে এসেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর মৌলভীবাজারের খুচরা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানান, গত তিন থেকে চারদিনের ব্যবধানে খোলা ভোজ্যতেলের দাম কমছে। তবে বোতলজাতের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১২০ থেকে ১২২ টাকা; যা গতকাল বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১১৬ টাকা। সুপার পাম তেলের দাম ছিল ১০৭ থেকে ১১২ টাকা। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ১০৩ থেকে ১০৫ টাকা। বসুন্ধরা কোম্পানির প্রতি ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) রয়েছে ৬৩০ টাকা এবং বাংলাদেশ এডিবল অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মালিকানাধীন রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৩৫ টাকা।

রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবমতে, গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১১২ থেকে ১১৬ টাকা। পাম তেল বিক্রি হয়েছে ৯৭ থেকে ১০০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১০০ থেকে ১০৩ টাকা এবং সুপার পাম বিক্রি হয়েছে ১০২ থেকে ১০৫ টাকা, যা আগে ছিল ১০৫ থেকে ১০৭ টাকা। ৫ লিটারের বোতল গতকাল বিক্রি হয়েছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৫০ থেকে ৬২০ টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ভোজ্যতেলের মোট চাহিদা রয়েছে ১৮ লাখ টনের মতো। আর রমজান মাসেই প্রয়োজন পড়ে চার লাখ টন। সিটি, মেঘনা, টিকে, বসুন্ধরা, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল কোম্পানিসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভোজ্যতেল আমদানি করে চাহিদা পূরণ করছে।

অবশেষে কমলো তেলের দাম সংবাদের তথ্য শেয়ার বিজ থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/ এমএইচ