নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: জাতিসংঘের সংস্থা FAO এর সর্বশেষ প্রতিবেদনানুযায়ী ২০১৮ সালে অভ্যন্তরীণ মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে ৩য় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে, অথচ ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই অবস্থান ছিল পঞ্চম। চীন ও ভারতের পরেই এখন বাংলাদেশের অবস্থান।

আজ বুধবার (১৮ জুলাই) মৎস্য সপ্তাহ ২০১৮ ‍উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। জাতীয় মৎস্যসপ্তাহ অনুষ্ঠিত হবে ২২-২৮ জুলাই।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, বাংলাদেশ ইকোনমিক রিভিউয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশের জিডিপিতে মৎস্যখাতের অবদান এখন ৩.৫৭ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে এখাতের অবদান ২৫.৩০ শতাংশ। আর দেশের মোট জনগোষ্ঠির ১১ শতাংশের অধিক লোক মৎস্যআহরণে জড়িত।

২০১৭-১৮ সালে দেশ প্রায় ৬৯ হাজার মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটিটাকার বৈদেশিক মূদ্রার্জন করেছে।

বাংলাদেশ মৎস্যোৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় দেশের জনগণ এখন জনপ্রতি গড়ে ৬২.৫৮ গ্রাম মৎস্যগ্রহণ করছে, যদিও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, জনপ্রতি দরকার মাত্র ৬০ গ্রাম। জাটকানিধনরোধের কার্যকারিতার দরুণ ব্যাপক ইলিশ উৎপাদনের কারণে ২০১৭-১৮ সালে প্রায় ৫ লক্ষ টন ইলিশ উৎপাদিত হয়েছে, ২০০৮-০৯ সালে যা ছিল প্রায় ৩ লাখ টন।

মন্ত্রী জরিপ জাহাজ আরভিমীন সন্ধানীর দ্বারা সমুদ্রজরিপ প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে আমাদের সমুদ্রসীমায় ২৯৮ প্রজাতির মাছ, ২৩ প্রজাতির চিংড়িমাছ, ১৬ প্রজাতির ক্রাস্টেপিয়ান ও ১২ প্রজাতির মলাস্কা চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৬-১৭ সালে প্রায় ৪২ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশ মাছে স্বয়ম্ভরতা অর্জন করেছে, যা আমাদের ধরে রাখতে হবে।

সারাবিশ্বে একমাত্র বাংলাদেশী মাছ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে ইলিশমাছের GI সনদপ্রাপ্তির কথা উল্লেখ করে তিনি মৎস্যখাতের জন্য যথাযথ অবদান রাখায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেলেসহ মিডিয়াকর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

জাটকানিধনরোধে সহায়তা করায় ২০১৭-১৮ সালে প্রায় আড়াইলাখ জেলেপরিবারকে ৪০ কেজি হারে ৪ মাসে প্রায় ৪০ হাজার টন খাদ্যসহায়তা এবং ২২দিন পর্যন্ত মা-ইলিশ আহরণ বন্ধ রাখায় বিগত ২ বছরে প্রায় ৪ লাখ জেলেপরিবারকে প্রায় ১৫ হাজার।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ শাহ আলম এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।