অমিত রঞ্জন দে: দেশের সর্ববৃহৎ ব্যক্তিখাত কৃষি, যা অর্থনীতির প্রধান কর্মকাণ্ড এবং জীবনীশক্তি। দুই-তৃতীয়াংশ গ্রামীণ পরিবার কৃষি ও অকৃষিজ উভয় আয়ের ওপর নির্ভরশীল। কৃষি জনগণের খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তা, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য হ্রাসকরণের সাথে সংশ্লিষ্ট।

তাই গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাসকরণে কৃষিখাতের উন্নয়ন এবং প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা অপরিহার্য। এরই ভেতর দিয়ে ঘটে চলেছে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। যা দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। এই গভীর সংকটের মধ্যে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপিত হলো। বৈশ্বিক মহামারি করোনা গোটা বিশ্বের জীবন ব্যবস্থা পাল্টে দিয়েছে, পাল্টে দিয়েছে জীবন বোধ, পাল্টে গেছে খাদ্য শৃঙ্খল। সুতরাং তার সাথে সংগতি রেখেই নিজেদের স্বার্থেই রপ্তানীমুখী চিন্তাকে পরিহার করে গ্রামীণ অর্থনীতি ও খাদ্য উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বাজেট প্রণীত হবে সেটাই প্রত্যাশিত।

ইতিপূর্বে করোনার মত আরো অনেক মহামারি, দুর্যোগ, মন্বন্তর আমরা মোকাবেলা করেছি। বিগত চারশ বছরের ইতিহাসের দিকে তাকালে প্রতি একশ বছর পরপর এক একটা মহামারি এসে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে আমাদের সবকিছু। প্রতিবারই ব্যাপক সংখ্যক মানুষের মৃত্যু ঘটেছে বা জীবন বিপন্ন হয়েছে। ১৭২০ সালে প্লেগে প্রায় কোটি মানুষের মৃত্যু ঘটে, ১৮২০ সালে কলেরায় মারা যায় প্রায় ৪ কোটি মানুষ, আর ১৯২০ সালে স্প্যানিশ ফ্লুতে মারা যায় প্রায় ৫ কোটি মানুষ। এবারের এই করোনা মহামারিতে ইতিমধ্যে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৫১৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে। জানি না এই মৃত্যুমিছিল কোথায় গিয়ে থামবে। তবে মানুষ কখনো হেরে যায়নি, এবারও হারবে না।

করোনার মধ্যেও গত ২০ মে ২০২০ বাংলাদেশের দক্ষিণের উপকূলীয় অ লে আঘাত হানলো প্রলয়ঙ্করী ঘুর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। এতে বাংলাদেশের ২৬টি জেলা আক্রান্ত হলেও খুলনা, সাতক্ষীরা, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, নোয়াখালী, বাগেরহাট ও যশোর জেলার অবস্থা সংকটাপন্ন। মৃত্যুর সংখ্যা জানা গেছে ২২জন। ১১০০ কিলোমিটার রাস্তা, ৫৫,৬৬৭ টি ঘরবাড়ি এবং ১৪৯,০০০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। প্রায় ২০০ টির মত ব্রিজ বা কালভার্ট ভেঙে পড়েছে। ১৫০ কিলোমিটারের মত বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। মৎসসম্পদ নষ্ট হয়েছে প্রায় ৩২৫ কোটি টাকার। খুলনার কয়রা অ লের মানুষ এখনো পানিবন্দী অবস্থায় খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

১৭৭০ সালে (১১৭৬) অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়। দেশজুড়ে চরম অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। ত্রুটিপূর্ণ ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা ও খাদ্যবাজারে দালাল-ফড়িয়া শ্রেণীর দৌরাত্মে দেখা দেয় ছিয়াত্তরের মন্বন্তর। এরপর দেশে ভিক্ষুকের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। শোনা যায়, এর আগে এ অ লে এত ভিক্ষুক ছিলো না। ১৭৭০ সালের পর ব্রিটিশ ভারতেই মানুষ বহুবার দুর্যোগ বা মহামারির মুখোমুখি হয়েছে। যার মধ্যে ১৮২০ সালের কলেরা এবং ১৯২০ সালের স্প্যানিশ ফ্লু অন্যতম। ১৯২০ সালের স্প্যানিশ ফ্লু’র পর মানুষের মধ্যে সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। শরৎচন্দ্রের শ্রীকান্ত উপন্যাসে ইন্দ্রনাথের ‘মরার আবার জাত কি?’এই সংলাপটি তার চমৎকার নিদর্শন।

এরপর ১৯৪৩ সালের (১৩৫০) মন্বন্তরে সারা বাংলায় প্রায় ত্রিশলক্ষ মানুষ না খেয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৪২ থেকে ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষপটে অর্থনৈতিতে যে আকস্মিক ঝড় নেমে আসে তা মোকাবেলায় রাষ্ট্র অক্ষম হয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ খাদ্য ঝুঁকিতে পড়ে। রুদ্ধ দুয়ারের ওপার থেকে শোনা যায় ক্ষুধাতুর শিশুর কান্না। যুদ্ধ হানা দেয় আকাল, মারী ও মড়কের চেহারায়। চারিদিকে রব ওঠে ‘ফ্যান দাও, ফ্যান দাও’ বলে। সারা বাংলায় প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ মানুষ মারা যায়। এদের অধিকাংশই কৃষি মজুর। সে সময়ে কৃষিশ্রমিকদের রক্ষায় কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় এরকম একটা মহাবিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হয়।

১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের পূর্বমুহুর্তে সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলা হাতিয়া, রামগতি, চর আব্দুল্লাহ, সন্দ্বীপ, তালচর, চরজব্বার, তজুমুদ্দিন, চর কচ্ছপিয়া, চর পাতিলা, কুকড়ি-কুমড়ি, মনপুরা, চরফ্যাশন, দৌলতখান, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রামসহ আরো বিভিন্ন জেলায় নেমে আসে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ‘গোর্কী’। শতাব্দির ভয়াবহতম এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারায় প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘর-বাড়ি, গ্রাম এবং শস্য ক্ষেত। লাখ লাখ মানুষ সহায় সম্বল হারালেও তৎকালিন পাকিস্তান সরকার এই দুর্যোগ মোকাবেলায় তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় রাজনীতিতে নতুন মোড় নেয়।

স্বাধীন বাংলাদেশেও সিডর, আইলা, মহাসেন-এর মত অজস্র ঘূর্ণিঝড়, বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রায় প্রতিবছরই আঘাত হানছে। বাধ ভাঙছে, ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে, মানুষ, প্রাণী ও পাখির জীবন হানি ঘটছে। আমরা দাঁড়িয়ে আছি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী প্রাকপর্বে। কিন্তু এখনো আমাদের রাষ্ট্র বা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ সাইক্লোনসহনশীল কোনো বাড়ির মডেল তৈরি করতে পারেনি যে বাড়িতে কৃষক ঝড়-বৃষ্টি-সাইক্লোন মোকাবেলা করে হাঁস-মুরগী-গরু-ছাগল নিয়েই অবস্থান করতে পারবে। সরকারের দৃষ্টি এখনো সেখানে নিবদ্ধ হয়নি, বাজেটের গতিপথ সেদিকে মোড় নেয়নি।

করোনা ভাইরাসে প্রাদুর্ভাবে বাংলাদেশসহ বিশ্ব অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ মন্দা, মানুষের দারিদ্র্য আরো গভীর হয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের রপ্তানী ও প্রবাসীদের রেমিট্যান্স খাত ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। একটা ব্যাপকসংখ্যক প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছে। গার্মেন্ট সেক্টরসহ ব্যক্তিমালিকানাধীন খাতসমূহের বেসামাল অবস্থা।

এই মন্দা কাটিয়ে জাতীয় অর্থনীতি স্বাভাবিক গতিধারায় ফিরতে বরাবরের মত কৃষি বা গ্রামীণ অর্থনীতিই মূল ভরসা। যদিও আমাদের কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে বারবার পঙ্গু করে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। ১৭৯৩ সালে ইংরেজ তার ডান্ডি শহরকে রক্ষা করতে আমাদের তাঁতশিল্প ধ্বংস করে দেয়। সেই সকল তাঁতীর জীবিকার উৎস হয় কৃষি। ১৮৯৮ সালে প্লেগ মহামারির পরপরই দেখা দেয় ভূমিকম্প। নাগরিক অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ে। শিল্প-কলকারখানা বন্ধ হয়ে যায়। সেসময়ও শহরের নিম্নবৃত্ত মানুষ গ্রামে গিয়ে কৃষিশ্রমিক হিসেবে কাজ করে এবং মধ্যবিত্তরা পতিত জমিসহ সকল জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসে।

২০০২ সালে আদমজী বন্ধ করে কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলার সম্ভাবনা থামিয়ে দেয়। আমরা ক্রমান্বয়ে পশ্চাৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন শিল্পে অধিক মনোযোগী হয়ে পড়ি। কিন্তু করোনা ভাইরাস আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কৃষির বৈচিত্র্য রক্ষা ও বাড়ানো এবং স্থানীয় বাজার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও গ্রামীন অর্থনীতিকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার বিকল্প নেই। পশ্চিমা বিশ্বও খাদ্য সংকটের সম্ভাবনায় আছে। সুতরাং নিজের খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থেই কৃষিকে সুরক্ষিত করতেই হবে।

এই লকডাউনে পরিবেশের উপর একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বাজেট বক্তৃতায় মাননীয় অর্থমন্ত্রী পরিবেশ সুরক্ষা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। জীবন-জীবিকা, অর্থনীতি, জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষায় আমাদেরকে অবশ্যই জৈবকৃষিতে ফিরতে হবে। ইতিমধ্যে ‘জাতীয় জৈব কৃষিনীতি ২০১৬’ প্রণীত হয়েছে। কিন্তু তা বাস্তবায়নে আলাদাভাবে কোনো বাজেট বরাদ্দ নেই। মাননীয় অর্থমন্ত্রী খাতওয়ারি পেশকৃত বাজেটে কৃষিতে থোক বরাদ্দ ৫.৩ শতাংশ। বাজেট দেখতে অনেক বড়। কিন্তু এরমধ্যে কৃষি, মৎস ও প্রাণী, পরিবেশ ও বন, ভূমি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় অন্তর্ভূক্ত। এতগুলো খাতের মোট বরাদ্দ ২৯,৯৮১ কোটি টাকা। যারমধ্যে পরিচালন ব্যায়ই ১৮,১১৩ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ মাত্র ১১,৮৬৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে আবার ভর্তুকী ও প্রণোদনা খাতে বরাদ্দ ৯,৫০১ কোটি টাকা। এই টাকার কেবলমাত্র সারের জন্য। সুতরাং আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য কি হবে, সেখানে কত ভর্তুকী লাগবে সে অনুযায়ী এই টাকা খরচ হবে। তাহলে কৃষির উন্নয়নে কয়টাকা থাকে তা বোঝার জন্য খুব বেশি হিসেব জানা দরকার নেই।

মাননীয় মন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার মর্মকথা হলো ‘কৃষি মন্ত্রণালয় পরিবেশবান্ধব ও ব্যয় সাশ্রয়ী কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, কৃষির যান্ত্রিকীকরণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানী ব্যবহার বৃদ্ধি ও কৃষি জমির ব্যবহার বৃদ্ধি, কৃষি কার্যক্রমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণ, কৃষিতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা’। এটাকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাতে চাই। কারণ কৃষিকে অবশ্যই প্রকৃতিবান্ধব করতে হবে। অগ্রাধিকার দিতে হবে কৃষি প্রক্রিয়াকরণে এবং গড়ে তুলতে হবে কৃষিভিত্তিক শিল্পায়ন। ২০১৭ সালের লেবার ফোর্স সার্ভে অনুযায়ী কৃষিতে নিয়োজিত ৪২ শতাংশ মানুষ। যাদের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের মানুষ। তার ওপর দেশের রপ্তানী খাত ও প্রবাসীদের রেমিট্যান্স খাত ইতিমধ্যে ঝুঁকির মধ্যে।

তাই মানুষের কর্মসংস্থানসহ ঝুঁকি মোকাবেলায় কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই। এইখাতে কমপক্ষে ৬-৭ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে। যদি সেটা করতে ব্যার্থ হই তাহলে জাতীয় অর্থনীতি আবারও আছড়ে পড়বে। এই ৬-৭ শতাংশের অর্ধেকটা ব্যয়িত হবে কৃষিভিত্তিক শিল্পায়ন, ক্ষুদ্র ব্যবসা, কুঠির শিল্প, সংরক্ষণাগার, যান্ত্রিকীকরণ, বাজার ব্যবস্থাপনাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে। আর বাকি অর্ধেক ব্যবহৃত হবে কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট উৎপাদন ও সেবা, বিশেষকরে জৈব কৃষি বা জলবায়ু সহনশীল স্থায়ীত্বশীল কৃষি চর্চায়।

বাজেট বক্তৃতায় অনেক পশ্চাৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন শিল্পে ২ শতাংশ বা তারও কমে ঋণ প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষক, ফুল ও ফল চাষি, মৎস ও দুগ্ধখামারী, হাস-মুরগীর খামারী  যারা সম্প্রতি করোনা ও আম্ফানে সর্বস্ব হারিয়েছে সে কেন ২ শতাংশ হারে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল পাবে না? কৃষি বাজেটে কিছুটা দ্বৈতনীতিও পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষকরে ‘বংশগতিবিজ্ঞান নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তির জনপ্রিয়করণ’। কারণ এতে মনোকালচার বাড়বে। এর প্রয়োগ মানুষসহ জীববৈচিত্র্যর উপর প্রতিক্রিয়া হবে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা আমাদের সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট-এর কাছে তার যথাযথ তথ্য-উপাত্ত আছে কিনা? তাছাড়া এটা জাতিসংঘ ঘোষিত ‘পারিবারিক কৃষিদশক’-এর সাথেও এটি সাংঘর্ষিক হচ্ছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা উচিত।

সবশেষে রবীন্দ্রনাথের সমবায় নীতির একটি অংশ উল্লেখ করে বলতে চাইনা ‘যে দেশে গরিবের পক্ষে রোজগার করিবার উপায় অল্প, রাস্তা বন্ধ। যে দেশে গরীব ধনী হইবার ভরসা রাখে সে দেশে সেই ভরসাই একটা মস্ত ধন। আমাদের দেশে টাকার অভাব আছে, এ কথা বলিলে সবটা বলা হয় না। আসল কথা, আমাদের দেশে ভরসার অভাব।’ আমাদেরকে সেই ভরসার জায়গাগুলো তৈরি করতে হবে, চিন্তার গতিমুখ অর্থ বা সম্পদে ধাবিত না করে মানুষ-জীবন-প্রকৃতির মেলবন্ধনে বিনিয়োগ করতে হবে। তাহলে হয়ত সুবর্ণজয়ন্তীর শুভক্ষণে আমরা আমাদের স্বপ্নটাকে ছুঁতে পারবো।