মাহমুদুর রহমান রনি, (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার বেতাগীর আবহাওয়া আখ চাষের অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে আখের ফলন অনেক ভাল হয়েছে। বাজারে এর চাহিদা থাকায় কৃষকরা ভাল দাম পাচ্ছেন, আখ বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে যেতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষক সব মিলিয়ে আখ চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।

বেতাগী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২২- ২০২৩ অর্থবছরে বেতাগীতে প্রায় ৭৮ হেক্টর জমিতে ৬টি জাতের আখের আবাদ হয়েছে। সেচ প্রকল্পের উঁচু জমিগুলো পলি ও দোআঁশ মাটির পরিমাণ বেশি থাকায় এখানে আখের ফলন প্রতিবছরই ভালো হয়।

কুমড়াখালী গ্রামের চাষি আবুল হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে প্রায় ২৫ শতাংশ জমিতে ১০ হাজার টাকা খরচে আখ চাষ করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। আখ খেতেই পাইকারিদের কাছে ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। বাজারে গিয়ে বিক্রি না করে করেও মুনাফা হয়েছে ১২ হাজার টাকা।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের অন্যান্য নিউজ পড়তে পারেন:

ডোমারে বেড়েছে আখের চাষ, দামে খুশি চাষিরা

আখের মারাত্মক লাল পঁচা রোগ দেখা দিলে যা করবেন

মাঠে দাঁড়িয়ে ১৫ হাজার মে. টন আখ, বেকায়দায় চিনিকল

বিবিচিনি ইউনিয়নের রানীপুর গ্রামের কৃষক আ. সত্তার বলেন, আখ চাষ একটি লাভজনক চাষ হওয়ায় এ বছর ৫০ শতাংশ জমিতে নতুন জাতের রঙ্গ বিলাস আখ চাষ করেছি, ফলন অনেক ভালো হয়েছে। বাজারে আখের চাহিদা থাকায় বিক্রি করতে কোন ঝামেলার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না।

বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইছা বলেন, বেতাগীতে সাধারণত দেশীয় প্রজাতির আখ চাষ হয়। যা এ অঞ্চলে গেন্ডারি নামে পরিচিত। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আখের ভালো ফলন হয়েছে। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে চাষিরা যেন তাদের ফসল বাঁচাতে পারে সেজন্য যথাসময়ে কৃষি অফিসের মাধ্যমে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের আখ চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে ।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ