আন্তর্জাতিক বাজারে দুগ্ধপণ্যের দাম

আন্তর্জাতিক কৃষি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আন্তর্জাতিক বাজারে দুগ্ধপণ্যের দাম কমছে এর পাশাপাশি সরবরাহ বেচাকেনাতেও ভাটি পরেছে। নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর ধাক্কা লেগেছে দুগ্ধপণ্যের আন্তর্জাতিক নিলামে।

গত মাসের (এপ্রিল) শেষ দিক থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে দুগ্ধপণ্যের দাম কমতে শুরু করে। চলতি মাসের শুরুতেও এ মন্দা ভাব বজায় রয়েছে।

আরও পড়ুন: চাল রপ্তানীতে কোটা বেঁধে দিতে যাচ্ছে মিয়ানমার

নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত দুগ্ধপণ্যের সর্বশেষ আন্তর্জাতিক নিলাম বা গ্লোবাল ডেইরি ট্রেড অকশনের (জিডিটি) তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এবারের নিলামে পণ্যটির বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক আগের নিলামের তুলনায় দশমিক ৮ শতাংশ কমে গেছে।

তবে এ সময় মাখন ও পনিরের কমলেও বাড়তির দিকে ছিল গুঁড়া দুধের দাম। খবর রয়টার্স ও নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড।

বণিক বার্তা সংবাদ মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, সর্বশেষ জিডিটিতে দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচকে দশমিক ৮ শতাংশ পতন দেখা গেছে। এ সময় দুগ্ধপণ্যের গড় দাম দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ২ হাজার ৮৬৬ ডলারে। এ নিলামে সর্বোচ্চ ১৭ হাজার ৮৯০ টন দুগ্ধপণ্য সরবরাহ হয়েছিল। বিক্রি হয়েছে ১৬ হাজার ৪৪২ টন দুগ্ধপণ্য।

আরও পড়ুন: কলার যেসব উপকারি গুন

জিডিটি ইনডেক্স বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সর্বশেষ আন্তর্জাতিক নিলামে দুগ্ধপণ্যের সরবরাহ আগের নিলামের তুলনায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমে গেছে। বেচাকেনা আগের নিলামের তুলনায় কমেছে এক-পঞ্চমাংশ বা ২০ দশমিক ২ শতাংশ।

আরও পড়ুন: একদিনে ৪৭ কোটি টাকার মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্য ভ্রাম্যমাণে বিক্রি

সর্বশেষ জিডিটিতে প্রতি টন মাখনের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৬৭ ডলারে, যা আগের নিলামের তুলনায় ৫ দশমিক ৮ শতাংশ কম। নিম্নমুখী ছিল পনিরের দামও। সর্বশেষ জিডিটিতে দুগ্ধপণ্যটির গড় দাম আগের নিলামের তুলনায় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ কমে টনপ্রতি ৪ হাজার ১১৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

তবে মাখন ও পনিরের কমলেও সর্বশেষ জিডিটিতে গুঁড়া দুধের দাম আগের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। এ সময় প্রতি টন ননিবিহীন গুঁড়া দুধের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৭৩ ডলারে, যা আগের নিলামের তুলনায় দশমিক ১ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে আগের নিলামের তুলনায় দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে প্রতি টন ননিযুক্ত গুঁড়া দুধের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৪৫ ডলারে।

আন্তর্জাতিক বাজারে দুগ্ধপণ্যের দাম কমছে এর ফলে নেতিবাচক প্রভাব পরতে শুরু করেছে ডেইরি শিল্পে।