শীর্ষ চাল আমদানিকারক হতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: করোনা ভাইরাসের কারণে এবার চাল রপ্তানীতে ভিন্ন পথ অবলম্বন করতে যাচ্ছে মিয়ানমার। চলতি বছরের মে মাসের জন্য চাল রপ্তানীতে কোটা বেঁধে দিতে যাচ্ছে মিয়ানমার।

এ সময় দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সাকল্যে ১ লাখ ৫০ হাজার টন চাল রফতানি করা যাবে। মিয়ানমার রাইস ফেডারেশনের (এমআরএফ) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মূলত নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে অভ্যন্তরীণ খাদ্য শৃঙ্খল রক্ষা ও জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নিচ্ছে মিয়ানমার। খবর সিনহুয়া ও এগ্রিমানি, বণিক বার্তা।

সম্প্রতি মিয়ানমারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এমআরএফ প্রতিনিধিদের একটি বৈঠক হয়েছে। এ সময় মে মাসে ১ লাখ ৫০ হাজার টন চাল রফতানির কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বণিক বার্তায় বলা হয়েছে, এর মধ্যে এক লাখ টন চাল সমুদ্রপথে রফতানি করা যাবে। বাকি ৫০ হাজার টন চাল রফতানি করা হবে স্থল সীমান্ত পথে।

স্থলপথে মূলত চীনের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি-রফতানি করে মিয়ানমার। তবে চলতি মাসে চাল রফতানিতে কোটা নির্ধারণের বিষয়ে এখনো সরকারি ঘোষণা আসেনি।

এমআরএফের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ড. সো তুন জানান, বর্তমানে মিয়ানমারের ১১২টি কোম্পানি সমুদ্রপথে চাল রফতানির সঙ্গে যুক্ত।

ছোট-বড় মিলিয়ে আরো প্রায় ২০০ কোম্পানি স্থল সীমান্ত পথে খাদ্যপণ্যটি রফতানি করে। তিন শতাধিকের বেশি চাল রফতানিকারক কোম্পানিকে চলতি মাসে সরকারি কোটা মেনে খাদ্যপণ্যটি রফতানি করতে হবে।

কেননা মহামারী পরিস্থিতিতে সবার আগে অভ্যন্তরীণ খাদ্য শৃঙ্খল রক্ষা ও জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিতে হবে।

মূলত মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য পণ্যের ওপর সবচেয়ে বড় প্রভাব পরেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চাল রপ্তানীতে কোটা বেঁধে দিতে যাচ্ছে মিয়ানমার শিরোনামের সংবাদটির তথ্য বণিক বার্তা সংবাদ মাধ্যম থেকে নেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে প্রকৌশলীর কৃষি কাজের আবেদন, ভরসা পাচ্ছেন না কৃষকরা