এগ্রিকেয়ার প্রতিবেদক: চলতি মৌসুমে দেশে আলুর চাহিদা ৮০-৮৫ লাখ মেট্রিক টনের বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে প্রায় এক কোটি মেট্রিক টন। বাকি ১৫-২০ লাখ টন আলুর চাহিদা না থাকায় বিক্রি করাও যাচ্ছে না আবার ব্যবহারও হচ্ছে না। এ কারণে সরকার, কোল্ড স্টোরেজ ব্যবসায়ী ও চাষিদের ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা ক্ষতির বোঝা বইতে হবে।

সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে  আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এসব তথ্য তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন জানান, উৎপাদন বেশি থাকায় আলুর বাজার সব সময় কম। চলতি মৌসুমে চাহিদার তুলনায় আলুর উৎপাদন ১৫-২০ লাখ টন বেশি। দীর্ঘদিন সাধারণের শাক-সবজির উচ্চ দাম থাকলেও আলুর দাম কিন্তু খুবই কম ছিল। কারণ, শেষ মুহূর্তে এই আলুগুলো বিক্রি করতে না পেরে ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।

মোশারফ হোসেন বলেন, ‘কৃষক পর্যায়ে সরকার সারের মাধ্যমে ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষকের কাছ থেকে এই আলু কোল্ড স্টোরেজ ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে সংরক্ষণ করছে এবং সারা বছর সেটার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করছে। অথচ জুলাই থেকে আলুর ক্রমাগত দরপতনে এখন আলু বিক্রি করতে হচ্ছে কেজিপ্রতি দুই থেকে তিন টাকায়। এই লোকসান তো শুধু আমাদের নয়, এটা কৃষক ও সরকারেরও।

অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কামরুল হোসেন চৌধুরী রপ্তানীর বাধার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘রপ্তানিতে বেশ কিছু বাধা রয়েছে। চার বছর ধরে আমরা আলু রপ্তানি করছি নামমাত্র পরিমাণ। আলুর জাতের উন্নয়ন ও ব্রাউন রড নামের একটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে আমরা রপ্তানিতে এগোতে পারছি না। অথচ সরকারের কাছে এ ব্যাপারে বারবার সহযোগিতা চেয়েছি।’

বর্তমানে বাংলাদেশে ৪১৬টি কৃষিভিত্তিক হিমাগার রয়েছে বলে উল্লেখ করেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।