শরিফুল হাসান, ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান ও কলামিষ্ট: এই দেশে পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজি কেন হয় জানেন? কারণ, ব্যবসায়ীরা জানে ২০০ নয়, দুই হাজার টাকা হলেও লোকে পেঁয়াজ কিনবে।
দেখেন পেঁয়াজ কোন জরুরী জিনিষ না, যে না খেলে মরে যাব। তারপরেও আমরা দেড়শ বা ২০০ টাকায় কিনছি। কিন্তু কেন? কেন বর্জন করছি না?
আজ থেকে একমাস চলেন পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করে দেই দেখবেন ব্যবসায়ীরা ২০ টাকায়ও বিক্রি করতে পারবে না। কিন্তু এই দেশে সেটা কখনো হবে না।
কারণ একদল লোকের এতো টাকা যে দুইশ বা দুই হাজারে তাদের কিছু যায় আসে না। আরেকদল আমাদের মতো। তারা কষ্ট হলেও কিনবে।
সমস্যার সমাধান কী? আমি বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিপক্ষে। মনে আছে আপনাদের ভারত গরু পাঠানো বন্ধ করার পর আমাদের দেশের বাজার ভালো হয়েছিল।
আমি মনে করি আমরা যদি পেঁয়াজ বর্জন করতে পারি তাহলে দেশের কৃষকরা ভালো দাম পাবে। আর আমদানি না করা হলে দামও কখনো বাড়বে না। তাই সবার আগে দরকার বেশি দামে পেঁয়াজ বর্জন।
হ্যা, সরকার দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না সেটা সত্য। আরও বড় সত্য তারা পারবেও না। তবে তারচেয়েও বড় সত্য কী জানেন? আমরা বর্জন করতে পারি না। পারলে আসুন পেঁয়াজ বর্জন করি আজ থেকে।
আমি আরও আগেই শুরু করেছি, সবাই মিলে চলুন শুরু করি। এক মাস না হোক অন্তত একটা সপ্তাহ সবাই পেঁয়াজ কেনা বন্ধ রাখি চলেন। দেখবেন পেঁয়াজের দাম পড়ে গেছে। চলেন পারলে চ্যালেঞ্জটা দেই ব্যবসায়ীদের।
এই দেশে পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজি কেন হয় জানেন? শিরোনামে লেখাটি লিখেছেন প্রথম আলো এর সাবেক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এবং বর্তমানে ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান ও কলামিষ্ট শরিফুল হাসান।