নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: করোনা পরিস্থিতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একদিনে ৪৭ কোটি টাকার মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্য ভ্রাম্যমাণে বিক্রি হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্য বিক্রিতে প্রতিনিয়ত অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। জেলা ও উপজেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরসমূহের তত্ত্বাবধানে দেশের ৬৪ জেলায় এ বিক্রয় কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ মে, ২০২০) একদিনে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রে ৪৭ কোটি ৩৮ লক্ষ ৯৭ হাজার ৮ শত ৩৯ টাকা মূল্যের মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্য বিক্রি হয়েছে। দেশের প্রান্তিক খামারিরা কুলভ্যান, ভ্যান, পিকআপ, অটোরিক্সা, মটর সাইকেল, অটোভ্যান, বাইসাইকেল, সিএনজি ও ট্রাক ব্যবহার করে ভ্রাম্যমান এ বিক্রয় সম্পন্ন করেছে।

এইদিন ভ্রাম্যমাণ এইসব বিক্রয় কেন্দ্রে ৪০ কোটি ১৫ লক্ষ ১৮ হাজার ১ শত ১৮ টাকা মূল্যের ২৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৬ শত ২২ লিটার দুধ, ১ কোটি ৯ লক্ষ ৭ হাজার ৯ শত ৩২টি ডিম, ১৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬ শত ৫৩টি মুরগী ও ৩৬ হাজার ৭ শত ৭৭টি টার্কি, হাঁস ও কবুতর এবং অন্যান্য প্রাণিজ পণ্য বিক্রি করেছে খামারিগণ।

আরোও পড়ুন:কৃষি কার্ড নিয়ে দুর্নীতি হলে কঠোর ব্যবস্থা

একইদিন ৭ কোটি ২৩ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬ শত ৫১ টাকা মূল্যের ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ২ শত ৬২ কেজি রুই, কাতলা, সিলভার কার্প, মৃগেল, শিং, মাগুর, ইলিশ, তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, সরপুটিসহ অন্যান্য মাছ বিক্রি করেছে খামারিরা।

এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আজ (৭ মে) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের চাষী, খামারি এবং উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত মাছ, দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি সুষম সরবরাহ ও বাজারজাত করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সকল জেলা ও উপজেলায় কর্মরত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

করোনা পরিস্থিতিতে বাজারজাতকরণ সংকটে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উৎপাদক, খামারি ও উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এবং ভোক্তাদের চাহিদা বিবেচনা করে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়। একদিনে ৪৭ কোটি টাকার মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্য ভ্রাম্যমাণে বিক্রি হওয়ায় খামারিরাও খুশি।