নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কৃষি কার্ড নিয়ে দুর্নীতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতে হবে। লটারিতে যেসব কৃষকের নাম উঠবে সুযোগ নিয়ে তারা তাদের কার্ড মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন না।

‘যদি বিক্রি করার প্রমাণ মেলে কৃষি কার্ড বাতিলসহ চিরদিনের জন্য তিনি সরকারি সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। এছাড়া যিনি কার্ড কিনবেন তিনিও মোবাইল কোর্টের আওতায় আসবেন।’ বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

আজ বৃহষ্পতিবার (৬ মে, ২০২০) দুপরে নওগাঁ সদর এলএসডি গুদাম চত্বরে বোরো ধান চাল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সরকারী ভাবে এবার বোরো মৌসুমে ৩৬ টাকা দরে ১০ লাখ মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা দরে দেড় লাখ মেট্রিকটন আতপ চাল মিলারদের কাছ থেকে ও কৃষকদের কাছে থেকে ২৭ টাকা দরে ৮ লাখ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হবে।

তিনি বলেন, ধান চাল ক্রয়ে কোন প্রকার রাজনৈতিক বা মধ্যস্বত্বভোগীরা যাতে প্রভাব না ফেলে সেজন্য দেশের সকল ডিসি ফুড কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে তালিকা দেওয়া কথা সেই তালিকা অনুযায়ী ইউনিয়নে ইউনিয়নে লটারি করে প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা নির্দেশ দেন।

আরোও পড়ুন:নওগাঁয় সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার দাবিতে মানববন্ধন

এছাড়াও সরকার দূর্য়োগ মোকাবেলায় যে পরিমান ত্রান দিয়ে যাচ্ছে ফলে গুদাম ফাঁকা হচ্ছে এবং যতদিন পর্যন্ত সরকার এই ত্রান দিয়ে যাবে সেটার উপর নির্ভ র করে প্রয়োজনে আরও চাল ক্রয় করা হবে তবে ধান কেনা হবে না।

এসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ওয়াশিমুল বারী, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি, এম ফারুক হোসেন পাটোয়ারীসহ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের নেতৃবৃন্দ ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা উপস্থিাত ছিলেন। এবার জেলায় ৪৯ হাজার ২৬০ মেট্রিকটন চাল ও ৬ হাজার ৫১ মেট্রিকটন আতপ চাল, ২৩ হাজার ২৩২ মেট্রিকটন ধান ৩১ আগষ্ট্রের মধ্যে করা হবে বলে খাদ্যবিভাগ জানান।

কৃষি কার্ড নিয়ে দুর্নীতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নিলেই কেবল এ কার্ড নিয়ে দূর্নীতি ঠেকানো সম্ভব হলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।