নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ৩৬ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের একটি রুপালি পোয়া মাছ। মাছটি বিক্রি হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায়!

গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজারে টেকনাফ উপকূলের শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম পাড়াসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছটি ধরা পড়ে।মাছটি লম্বায় প্রায় সাড়ে তিন ফুট। বিশাল আকারের মাছটি দেখতে কায়ুকখালীয়া মৎস্য ঘাটে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।

ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ শফিক গণমাধ্যমকে জানান, গত শনিবার সকালে তার মালিকানাধীন ট্রলারটি নিয়ে ১০ জন মাঝি-মাল্লা বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান। এ সময় মাছ ধরার জন্য লাক্ষা জাল সাগরে ফেলা হয়। জালটি বারবার টান দিচ্ছিল। তখন মনে হয় বড় কিছু জালে আটকেছে। জাল টেনে কাছে আনতেই বড় মাছ দেখা যায়। পরে মাছটি ধরে নৌকা নিয়ে তীরে ফেরত আসি। পরে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন সাবরাং এলাকার মাছ ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম। বর্তমানে মাছটি তাঁর ফিশারিজে আছে।

মাছটির ক্রেতা নুরুল ইসলাম জানান, পোয়া মাছটি কেটে বিক্রি করলে প্রতি কেজির দাম ৭০০ টাকার বেশি পাওয়া যাবে না। তবে এর ফুসফুসের দাম অনেক বেশি। এ মাছের বায়ুথলির দাম অনেক বেশি হওয়ায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রির জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে।

এই ব্যবসায়ী আরোও বলেন, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী পি কে দাসের কাছে মাছটি বিক্রি করার কথা হয়েছে। পি কে দাস বিদেশে মাছ ও মাছের পটকা রপ্তানি করে থাকেন। পটকা বা ফুসফুসটির ওজন ৯০০ গ্রামের বেশি হলে বিক্রি করে ভালো লাভ হবে। আর ওজন কম হলে লোকসান গুনতে হবে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় মাছটি ‘কালা পোপা’ নামে পরিচিত। সাগরে ৩৭ কেজি ওজনের মাছ ধরা পড়ার বিষয়ে শুনেছি। সাধারণত এত বড় পোপা মাছ ধরা পড়ে না।

এই মাছের দাম এতো বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম মিকটেরোপারকা বোনাসি (Mycteroperca bonaci)। মাছের বায়ুথলি বা এয়ার ব্লাডারের কারণে মাছটির মূল্য বেশি। এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি হয়, এ জন্য মাছটির এত দাম।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ