এবার শুরুও হতে যাচ্ছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া শুরু, ২৫ হাজার টনের আবেদন পরেছে। ভারতের থেকে রপ্তানীর নিষেধাজ্ঞা

অর্থ- বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: এবার অনলাইনে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে (ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) টিসিবি।

এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘ই-কমার্সের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে টিসিবি। পেঁয়াজের বাজার এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। ভোক্তারা পেঁয়াজ ব্যবহারে একটু সাশ্রয়ী হলে আর কোনো সমস্যা হবে না।’

আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে পেঁয়াজের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় এসব কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বর্তমানে প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ মজুত আছে। টিসিবির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। পেঁয়াজ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হোন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত পেঁয়াজ কিনবেন না।‘

তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে কেনা পেঁয়াজের মধ‌্যে যেগুলো সীমান্ত পার হওয়ার অপেক্ষায় আছে, সেগুলো দুই-এক দিনের মধ্যে বাংলাদেশে ঢুকবে। টিসিবি এবার পেঁয়াজের বড় ধরনের মজুত গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।’

পেঁয়াজের দাম বেশি নিলেই জরিমানা

পেঁয়াজের দাম বেশি নিলেই জরিমানা। রাজশাহীর পেঁয়াজের বাজারে অভিযান ( জরিমানা) শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।পেঁয়াজের বাড়তি দাম ও মজুদদারি ঠেকাতে এ অভিযান পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হোসাইন।আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০) সকাল থেকে মহানগরীতে ৬টি টিমসহ প্রত্যেক উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহানগরীর সাহেব বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হোসাইন তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় বাড়তি দাম না নেয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।অবশ্য তারা চলে যাওয়ার পর আবারও বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, দেশে পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি অনাকাঙ্খিত এবং অগ্রহণযোগ্য। জেলাজুড়ে ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্ট টিম কাজ করছে। অশুভ পন্থা অবলম্বনকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযান চলবে।

Posted by AgriCare24.com on Wednesday, September 16, 2020

টিপু মুনশি বলেন, ‘পেঁয়াজের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন বাজার মনিটরিং জোরদার করেছে। পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারত সরকারের সাথে কূটনৈতিক মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গত বছরের মতো অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশের বড় কোম্পানিগুলো এবারও প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করবে। পেঁয়াজ সরবরাহে কোনো ঘাটতি হবে না। পেঁয়াজ নিয়ে অস্থির হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব শরিফা খান, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিরি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

এবার কম দামে অনলাইনে পেঁয়াজ বিক্রির উল্লেখ করলেও দেশের কাঁচা বাজারগুলোতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। মানা হচ্ছে না ভোক্তা অধিকার আইন। ব্যবসায়ী এবং একশ্রেণীর ভোক্তার কারণেই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।