অর্থ- বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: গত ১৪ সেপ্টেম্বর ডিজিএফটি আচমকা এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। এবার পেঁয়াজ রফতানি নীতিতে রাতারাতি আবার পরিবর্তন করলো এবং পেঁয়াজ পাঠাতে নানা শর্ত জুড়ে দিল দেশটি।

রফতানি নীতি পরিবর্তনে ২০ হাজার টন পেঁয়াজ বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে ভারত। এই পেঁয়াজের একটা বড় অংশই বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা আছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিজিএফটি বা বৈদেশিক বাণিজ্য দফতর গত শুক্রবার ( ৯ অক্টোবর ২০২০) জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পাঁচটি শর্তাধীনে এই পেঁয়াজ বিদেশে পাঠানো হবে।

পাঁচটি শর্তের মধ্যে, এই পেঁয়াজ সড়কপথে নয়, সমুদ্রপথে চেন্নাই বন্দর হয়েই পাঠাতে হবে। আর রফতানির প্রক্রিয়া শেষ হতে হবে আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে। মোট ২০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি মিলেছে। আর ব্যাঙ্গালোর রোজ আর কৃষ্ণাপুরম এই দুটো প্রজাতিই মোট ১০ হাজার টন করে রপ্তানি করতে পারবে।

আরোও পড়ুন: ভারতীয় ‘পেঁয়াজ’ রপ্তানি বন্ধে কার ক্ষতি, কার লাভ?

এবার মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকে এলো পেঁয়াজের চালান

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশে পেঁয়াজ মূলত সড়কপথেই যায়, বেনাপোল ও হিলি স্থলবন্দর হয়ে। নতুন এই নির্দেশিকা অনুসারে যে ২০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাতে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলো উপকৃত হবে।

করোনাভাইরাস লকডাউনে ট্রেনেও প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ওয়াগনভর্তি পেঁয়াজ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের পেঁয়াজ আমদানিকারকদের সমুদ্রপথেই সেটা আনাতে হবে এবং চেন্নাই বন্দর দিয়েই পাঠাতে হবে ভারতের রফতানিকারকদের ।

ব্যাঙ্গালোর রোজ প্রজাতির পেঁয়াজ উৎপন্ন হয় ভারতের কর্নাটক রাজ্যে। আর কৃষ্ণাপুরম প্রজাতির পেঁয়াজ ফলে অন্ধ্রপ্রদেশে।রফতানির আগে ওই দুই রাজ্যের হর্টিকালচার বিভাগ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে, পেঁয়াজের পরিমাণও যাচাই করিয়ে নিতে হবে ডিজিএফটি-র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে।

এই ধরনের নানা শর্তের জটিলতা থাকলেও এই নির্দেশিকা জারির ফলে প্রায় দুই মাস পর ভারত থেকে আবার বিদেশে পেঁয়াজ রফতানি সম্ভব হবে। এই নতুন সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশে পেঁয়াজ পাঠানোর পথ প্রশস্ত হয় কিনা বা পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে কিনা, সেটাই দেখার বিষয় হবে।

এবার পেঁয়াজ পাঠাতে নানা শর্ত জুড়ে দিল ভারত সংবাদের লেখাটি দিল্লি থেকে লিখেছেন রঞ্জন বসু। সংবাদের তথ্য বাংলা ট্রিবিউন থেকে নেওয়া হয়েছে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ