করোনাকালে ভ্রাম্যমাণে ৫৭০০ কোটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: করোনাকালে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রায় ৫ হাজার ৭ শত কোটি টাকার দুধ, ডিম, মাছ, মাংস বিপণন করা হয়েছে। উৎপাদক ও বিপণনকারী উভয়ই লাভবান হয়েছেন এবং এর উপকারভোগীরা লাভবান হয়েছেন।

আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তর কক্ষে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এসব তথ্য তুলে ধরেন।

করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করছে বলে জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সভাপতি ডাঃ মোঃ মনজুর কাদির, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ এস এম নজরুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ জালাল উদ্দিন সরদার, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার ডাঃ মোঃ ইমরান হোসেন খান ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডাঃ গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গতিকে করোনার মধ্যেও আমরা এগিয়ে নিয়ে গেছি উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, করোনাকালে মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন ‍নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কন্ট্রোল রুম চালু করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদিত সামগ্রী যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, উৎপাদন ও বিপণন সমস্যা, রাস্তায় পরিবহন সমস্যা, বিদেশ থেকে আমদানীকৃত মৎস্য ও প্রাণিখাদ্য কাস্টমস্ থেকে ছাড়িয়ে নেয়া সমস্যা মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় চব্বিশ ঘন্টাই মনিটর করে সমাধান করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদের উন্নত প্রজাতি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়া হবে

মতবিনিময়কালে ভেটেরিনারি কাউন্সিলের জনবল সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন মন্ত্রী। এসময় চলমান দাপ্তরিক কাজ কার্যকরভাবে এগিয়ে নেয়াসহ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের জন্য বিধি প্রণয়নের ব্যাপারেও সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন তিনি।

করোনাকালে ভ্রাম্যমাণে ৫৭০০ কোটি টাকার দুধ, ডিম, মাছ, মাংস বিক্রি শিরোনামের সংবাদটির তথ্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে নিশ্চিত করেন।