ঘোড়াঘাট প্রতিনিধি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: উত্তরের জেলা দিনাজপুরের খাদ্য ভান্ডার হিসেবে বেশ পরিচিত রয়েছে ঘোড়াঘাট উপজেলার। ধানের পাশাপাশি ভুট্টা,আলু, সরিষা সহ বিভিন্ন শস্য আবাদে পিছিয়ে নেই এলাকার কৃষকরা। তবে জ্বালানি তেল, সারসহ কৃষি পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ফসল চাষ নিয়ে কৃষকের মনে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার মোট জমির পরিমাণ ৩৬,৮০৪ একর। এই উপজেলার উচু জমির পরিমাণ ৬০০০ হেক্টর এবং মাঝারি উঁচু জমির পরিমাণ ৫৯৮৫ হেক্টর , নিচু জমির পরিমাণ ২৫২ হেক্টর। এতে উপজেলার উচু জমির পরিমাণ বেশি এবং ফসলের জমিতে পানি সেচ এর পরিমানটা বেশি ।

পড়তে পারেন: উত্তরাঞ্চলে বাড়ছে ধানের উৎপাদন খরচ, কমছে চাষাবাদ

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় কৃষি কাজের প্রয়োজনীয় প্রতিটা দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজেল ও ইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে ফসল উৎপাদনের উপর।ঘোড়াঘাট উপজেলায় ট্রাক্টর দিয়ে ১ বিঘা জমি চাষ করতে লাগতো ১০০০ টাকা কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে ২০০০ টাকা হয়েছে ।

এ বিষয়ে ট্রাক্টর মালিকরা জানায়, তেলের দাম বেশি, মবিলের দাম বেশি, গাড়ীর প্রতিটা পার্সের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এই কারণে আমরা চাষের দাম বাড়িয়েছি।

উপজেলার ২ নং পালশা ইউপির কৃষক সাহেব আলী বলেন, ডিবের পানি দিয়ে জমি চাষ করতেছি। লোডশেডিংয়ের কারণে সব সময় পানি সেচ দিতে পারছি না। সারের দাম বাড়ায় বেশি দামে ইউরিয়া কিনতে হচ্ছে কিন্তু পটাশ পাচ্ছিনা। জমি ফেলে রেখে কি করব এজন্য বেশি টাকা খরচ করে হলেও আমরা চাষাবাদ করছি।

পড়তে পারেন: আমন ধানের বীজতলা তৈরি ও রোগবালাই দমন পদ্ধতি

অপর একজন কৃষক মিঠু মিয়া বলেন,অনেক চড়া রোদ ও বাতাসের কারণে জমিতে পানি থাকছে না জমি শুকে ও ফেটে যাচ্ছে। খারি গুলোতে পানি নেই, আধা শুকনা জমিতে চারা রোপণ করেছি। পানি সেচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষির সঙ্গে সম্পর্কিত সব জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছে। ধানের দাম যদি না বাড়ানো হয়, তাহলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখলাস হোসেন সরকার বলেন, ইউরিয়ার দাম সামান্য বেড়েছে। বিঘা প্রতি ১৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এটা কৃষকের উপরে তেমন প্রভাব ফেলবে না আর আমাদের উপজেলায় পটাশের চাহিদা ছিলো ৪৫০ টন তবে আমরা ১০৪ টন সরবরাহ করেছি। ধানের দাম ভালো আছে এবং আমরা টার্গেট করেছি এ বছর উপজেলায় ১১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ফসল উৎপাদন হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ