অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: গাইবান্ধায় কেজিতে ১ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে মুলা। তারপরও ক্রেতাদের দেখা মিলছে না বলে জানান চাষিরা।। এছাড়া অন্যান্য সবজির দামও কমেছে। জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাটে স্থান সংকুলান না হওয়ায় পাশের একটি মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে মুলার হাট।

বিশাল মাঠ ভরে গেছে মুলায়। আমদানি বেশি হওয়ায় দাম নেই মুলার। এত কম দামেও হাটে মুলা এনে বিক্রি করতে পারছেন না অনেক মুলা চাষি। স্থানীয় মুলা ব্যবসায়ী মোতাহার হোসেন ও জহুরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ধাপেরহাটে প্রতি মণ মুলা প্রকার ভেদে ৪০-৬০ টাকা মণ দরে ক্রয় করছি। হাটে প্রচুর মুলার আমদানি হয়েছে। তাই দাম কম। এসব মুলা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে।

আরও পড়ুন: নওগাঁর আত্রাইয়ে লাগামহীন সবজির দামে ভোক্তাদের দুর্ভোগ

উপজেলা গোপিনাথপুর গ্রামের লঙ্কর মিয়া বলেন, শুরুর দিকে আশানুরুপ দাম পেলেও মুলার বাজারমূল্যে দ্রুত ধস নেমেছে। ৪০ টাকা মণ দরে মুলা বিক্রি করলাম। এতে লাভতো দূরের কথা খরচও উঠছে না।এদিকে, এক টাকা দরে মুলা বিক্রি হলেও অনেক চাষীকে হাটের মুলা নিয়ে এসে ক্রেতা অভাবে বসে থাকতে দেখা গেছে।

উপজেলার চকনদী গ্রামের মুলা চাষি লিটন জানান, সকালে মুলা নিয়ে হাটে এসে ক্রেতা অভাবে বাসে আছি। কেউ দামই করছে না। উপজেলা নিজপাড়া গ্রামের মুলা চাষি ষাটোর্ধ তছির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, হাটে মুলা নিয়ে এসে বিপদে পড়েছি। এক টাকা দরেও মুলা বিক্রি করতে পারছি না।

অপরদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন সবজির দাম খুবই কম। পাশ্ববর্তী রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কাবিলপুর এলাকার ফুলকপি চাষি শামিম মিয়া জানান, প্রতি মণ ফুলকপি ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গেল সপ্তাহে প্রতি মণ ফুলকপি এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে। হাটে আসা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বেগুন চাষি পরিমণ বলেন, প্রতিমণ বেগুন ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গেল সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ১৫শ’ থেকে ১৬শ’ টাকায়।

আরও পড়ুন: সবজির দামে মিলছে মাংস

ধাপেরহাট হিঙ্গারপাড়া গ্রামের সিমচাষি ফারুক মিয়া বলেন, প্রতিমণ সিম ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে সিম বিক্রি করেছি ১৩শ’ থেকে ১৪শ’ টাকায়। এছাড়াও অন্য সবজি আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমছে দামও। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, বন্যার পর চাষিরা এক সঙ্গে সবজি চাষ করেছে। ফলও ভাল হওয়ায় হাট-বাজারে আমদানিও বেশি। তাই দাম দ্রুত কমে যাচ্ছে।

কেজিতে ১ টাকায় মুলা বিক্রি, তারপরও মিলছে না ক্রেতার দেখা!  শিরোনামে সংবাদের তথ্য বাংলা নিউজ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি