ইউসুফ আলী সুমন, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাইয়ে সবজির লাগামহীন দামে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ভোক্তাদের দুর্ভোগ আরও চরমে পৌঁছেছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত, খেটে-খাওয়া মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে।

৫০-৬০ টাকা কেজি দরের কম উপজেলার গ্রামীণ বাজারগুলোতে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের নজরদারির অভাবে এমনটি হয়েছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে ।

স্থানীয় পাইকাররা বলছেন, প্রতি বছর এই সময়ে প্রচুর পরিমাণ শাক-সবজি কৃষকরা গ্রাম পর্যায় থেকে বাজারে আনলেও বন্যা আর দফায় দফায় অতিবৃষ্টির কারণে আগাম জাতের সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই বাজারে সবজির আমদানি কমে যাওয়ায় চড়া দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা।

উপজেলার ভবানীপুর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী রশিদ এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে জানান, চলতি মৌসুমে সবজি চাষিরা বৃষ্টির কারণে আশানুরূপ সবজি চাষ করতে পারেনি। তাই বাজারে আমদানি কম হওয়ায় পাইকারি কেনা দরের চেয়ে সামান্য কিছু লাভ হাতে রেখে আমি সবজি বেচা-কেনা করছি। লাগামহীনভাবে প্রতিদিনই সবজির দর বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা পর্যায়ে বেচাকেনা করতে গিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে মনোমালিন্যসহ বাকবিতণ্ডার মতো ঘটনা ঘটছে। তার পরও গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে সবজির বাজার কিছুটা কমেছে।

আরোও পড়ুন: রাণীনগরে লাগামহীন সবজির দাম

সবজি ব্যবসায়ী নয়ন বলেন, সরকারিভাবে বেঁধে দেয়া আলুর প্রতি কেজির দর ৩৫ টাকা হলেও আমরা খুচরা বিক্রি করছি ৪০ টাকা। পটল, করলা ও বেগুন ৬০ টাকা দরে, পেঁয়াজ ৮০, কপি ১০০, শিম ১২০, কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। কারণ আমরা কিনছি বেশি দামে তাই বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। তবে স্বাভাবিক পর্যায় আসতে আরও দেরি হবে।

আবু বক্কর সিদ্দিক, আফজাল ও বাবু জানান, করোনাকালে এমনিতে আমাদের হাতে কাজকর্ম নেই। তারপর বাজারে নিত্যপণ্য দ্রব্যের মূল্য ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় আমরা পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। সরকারিভাবে যদি খোলা বাজারে আলুসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো বিক্রি করা হতো তাহলে আমরা উপকৃত হতাম।

নওগাঁর আত্রাইয়ে লাগামহীন সবজির দামে ভোক্তাদের দুর্ভোগ স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছানাউল ইসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে জানান, বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন হাট ও বাজারে অভিযান চলমান আছে। সরকারিভাবে বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ