কেনিয়াকে চামড়াজাত পণ্য আমদানির

ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কেনিয়াকে চামড়াজাত পণ্য আমদানির আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর। কেনিয়ার কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য মন্ত্রীকে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এ আহ্বান জানিয়েছেন।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে নাইজেরিয়ার কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য মন্ত্রী Mwangi kiunjuri নের্তৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯) কৃষি মন্ত্রণালয়ে কৃষিমন্ত্রীর অফিসকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় বৈঠকটি।



কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কেনিয়া এবং বাংলাদেশ এর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য কেনিয়া এবং বাংলাদেশ উভয়েই আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

কৃষিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ থেকে কেনিয়ায় রপ্তানিকৃত পণ্যের মধ্যে পাট শীর্ষস্থান দখল করে রয়েছে। এছাড়া কেনিয়া বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানি করছে। তাদের বাংলাদেশ হতে চামড়া জাত পণ্য আমদানির আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে কৃষি ও রপ্তানি খাত নিয়ে কথা হয়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণতা অর্জন করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য নিরাপদ ও পুষ্টিমান সমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করা। এছাড়াও আধুনিক ও বাণিজ্যিক কৃষির জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিগত এক দশকে অর্থনৈতিক সামাজিক ও মানব উন্নয়নসহ প্রায় সবসূচকে সাফল্য অর্জন করেছে। এই সাফল্য টেকসই করাই বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।

এছাড়া মৎস্য ও প্রাণি খাতেরও অর্জন ভালো। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি’র গোল অর্জন করা। আমরা ধীরে ধীরে উন্নত রাষ্ট্রের পথে এগিয়ে চলছি।

কেনিয়ার মন্ত্রী বলেন, কেনিয়া ও বাংলাদেশ ভূমি গঠনে, সংস্কৃতিতে, ভাষায় এবং ইতিহাস ঐতিহ্যে সম্পুর্ণ আলাদা।

তবুও দুই দেশই উন্নয়ন তালিকায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিকে রেখেছে এবং উভয় দেশই স্বাধীনতার পর কৃষিতে বিরাট অগ্রগতি ঘটিয়েছে।

কেনিয়ার খাদ্য ও কৃষি খাত এখন বিকাশমান, যা চা, কফি, ফল, সবজি ও ফুলের বদৌলতে অর্থনীতিতে প্রায় ৫০ ভাগ অবদান রেখে চলেছে। এছাড়া ভুট্টা এদেশে প্রচুর পরিমানে উৎপন্ন হয়।

উল্লেখ্য, কেনিয়ার কৃষক সমবায়ের দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ঐতিহ্য/ইতিহাস আছে যার শুরু স্বাধীনতার পূর্বে সেই ১৯৪০ সালে।

শক্তিশালী ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা, সদস্যদের ব্যবসায়িক পরামর্শ, লটে বা একসঙ্গে কেনাবেচার সুযোগ সৃষ্টি এবং চাহিদার সঙ্গে খাপখাইয়ে চলার মতো প্রায়োগিক কৌশলসহ একটি সুসংগঠিত এবং পেশাদার স্বত্তা হিসেবে আবির্ভূত হতে কেনিয়ার কৃষক সংগঠনকে কয়েক দশক জুড়ে অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে।

বাংলাদেশে কৃষিখাতে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে এর জন্য সরকার ও কৃষকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন কেনিয়ার মন্ত্রী। কেনিয়ার মন্ত্রী বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রীকে কেনিয়া ভ্রমণের আহ্বান জানান।

প্রতিনিধি দলের  অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ছিলেন কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের Joseph Nguyo, Personal Assistant; Caroline Gachuri, State Consel;  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের Nicholas Irungu; David Kariuki, India Embassy.

কেনিয়াকে চামড়াজাত পণ্য আমদানির আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর সংবাদটির তথ্য কৃষিমন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: ডাল রপ্তানীর অবস্থায় বাংলাদেশ, গবেষক ও বিজ্ঞানীদের দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান